রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার সুবিধার্থে কঠোর লকডাউন শিথিল করে গণপরিবহন চলাচলের ঘোষণায় ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর ও ইলিশা-ঢাকা নৌ রুটে হাজার হাজার যাত্রীর ঢল নামেছে।
রোববার (১ আগস্ট) ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে সি-ট্রাক ও লঞ্চে গাদাগাদি করে এসব যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন।
ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ১০টি লঞ্চ ও ৩টি সি- ট্রাকে এ সময় তিল ধারনের কোন জায়গা ছিল না। স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা না করে ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে এসব নৌযান নির্দিষ্ট গন্তব্যে পাড়ি জমায়। এদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত ছিল না।
তবে স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যাপারে নৌযান কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার মাইকিং করা হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই বললেই চলে।
ভোলা বিআইডব্লিউটিএ সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে ১০টি লঞ্চ ও ২টি সি-ট্রাক গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। আারও ৩টি লঞ্চ সন্ধ্যায় ছাড়ার কথা রয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে এসব নৌযানগুলোতে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী পারাপার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এসব যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিধি মানার প্রবণতা কম ছিল বলে তিনি স্বীকার করেন।
এদিকে লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় ভোলা লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরিতে যাত্রীদের তেমন কোনো চাপ ছিল না।
ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিসের মেরিন অফিসার মো. হারুনুর রশিদ জানান, হঠাৎ করে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে ফেরি ঘাটে মানুষের ঢল নামে। এই রুটে লঞ্চ এবং সি-ট্রাক বন্ধ থাকায় অন্তত ১৫ হাজার যাত্রী ফেরিতে পারাপার করা হয়েছে। তবে সাময়িক লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রীদের তেমন কোনো চাপ নেই।
ফলে আজ সবগুলো ফেরিতে পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।