ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ডুবে যাওয়া ফেরিতে থাকা গাড়ির মালিক, চালক ও হেলপাররা মানববন্ধন করেছেন।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের সামনে এ মানববন্ধন করে ক্ষতিগ্রস্থ যানবাহনের মালিক ও চালকরা।
এ সময় মানববন্ধনে বিআইডব্লিউটিএ এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ক্ষতিগ্রস্থ মালিক ও চালকরা জানান, আমাদের প্রায় সবারই ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানগুলো ঋণ করে কেনা। ১/২টি বাদে প্রায় সব যানবাহনগুলোই পানি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পানির নিচে প্রায় ৩/৪ দিন থাকার কারণে যানবাহনগুলোর অনেক ক্ষতি হয়েছে। এগুলো মেরামতে ঠিক কত টাকা লাগবে তা আমরা বলতে পারছিনা। কিভাবে এই গাড়িগুলো মেরামত করবো, কিভাবে কিস্তি দিবো, আর কিভাবেই বা সংসার চালাবো। এই ভেবে আমরা অনিশ্চয়তা দিন পার করছি।
তারা আরো জানান, এছাড়া আমাদের যেসব গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে তা কখন বুঝিয়ে দিবে তা জানি না। কতজনকে জিজ্ঞেস করলাম কেউ বলতে পারে না। ফেরি ডুবির পর থেকে ঘাটেই পড়ে রয়েছি। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন আমরা যারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি তাদেরকে যেন কর্তৃপক্ষ আর্থিক সাহায্য করে।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা শাখার ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, “যানবাহনের বীমা করা থাকলে তারা সেভাবে সুযোগ-সুবিধা পাবে। আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি। তাই এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারছি না।”
গত ২৭ অক্টোবর সকালে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৭টি পণ্যবাহী ট্রাক ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ রো রো ফেরি ‘আমানত শাহ’ পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে আসে। সেখানে ফেরির তলা দিয়ে পানি ঢুকে হঠাৎ কাত হয়ে ডুবে যায়।
এ সময় তড়িঘড়ি করে তিনটি ট্রাক নামতে সক্ষম হলেও অন্য যানবাহনগুলো নিয়ে ডুবে যায় ফেরিটি। ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন চার সদস্য ও নৌ মন্ত্রণালয় সাত সদস্যের পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।