কৃষক লীগ নেতাকে মারধর


যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২১, ০৯:৩৪ পিএম
কৃষক লীগ নেতাকে মারধর

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজানো নিয়ে দ্বন্দ্বে যশোরের চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন কৃষক লীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মুন্নার নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার শরিফুল ইসলাম কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে আবদুল মান্নান মুন্না (চেয়ারম্যান), আপিল উদ্দিন সরদারের ছেলে তরিকুল ইসলাম, আছাব আলী সরদারের ছেলে মোজাম্মেল ও রফি উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন শান্তি।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, রোববার শোক দিবসের সকালে চূড়ামনকাটি ইউনিয়ন কৃষক লীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ চুড়ামনকাঠি বাজারে তার নিজস্ব দ্বিতীয়তলা ভবনে মাইকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ চালু করেন (বাজান)। এ সময় আনোয়ার হোসেন শান্তি এসে মাইকের ভাষণ বন্ধ করে দেন। তখন তিনি কারণ জানতে চাইলে তাকে জানানো হয় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসবেন। এ সময় তিনি (শরিফুল) মাইক বন্ধ রাখেন। পরে শরিফুল বাজারে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না, তরিকুল ইসলাম, মোজাম্মেল, আনোয়ার হোসেন শান্তিসহ আরও কয়েকজন মারধর করেন এবং হত্যার হুমকি দেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চূড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মুন্না বলেন, চার দিন আগে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জাতীয় শোক দিবস পালনের স্টেজ (মঞ্চ) করেছি। বেলা ১১টার পর আমাদের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় শরিফুল শয়তানি করে আমাদের মঞ্চের একশ গজ দূরে দুইতলা ভবনের মাইক সেট করে। সেই মাইক (চোঙ) আমাদের দিকে মুখ ঘুরিয়ে দিয়ে ডিস্টার্ব করছিল। তাকে নিষেধ করেছি। কিন্তু সে আমাদের কথা না শুনেনি। এ জন্য তাকে চড়থাপ্পড় আর ধাক্কা মারা হয়েছে। তেমন কিছু হয়নি। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে।

কোতোয়ালি থানার ওসি তাইজুল ইসলাম বলেন, “কৃষক লীগ নেতাকে মারধরের বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ আমার হাতে আসেনি।”

Link copied!