কুমিল্লা সিটির কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ দুইজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সুমন মিয়া (৩২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে এই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আজিম জানান, গ্রেপ্তার সুমন কুমিল্লা শহরের সুজানগর এলাকার কানু মিয়ার ছেলে। তিনি এজাহারে উল্লিখিত ৪ নম্বর আসামি। সকালে কুচাইতলীতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন সুমন। সেখান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
হত্যাকাণ্ডে সুমনের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি ওসি।
সোমবার বিকালে শহরের পাথুরিয়াপাড়ায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের সিমেন্টের দোকান থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে হামলা চালায় একদল মুখোশধারী। সেখানে থাকা সোহেল এবং তার সহযোগী ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি হরিপদ সাহাকে তারা গুলি করে হত্যা করে। খুনিদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন আরও চারজন। তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন মঙ্গলবার রাতে ‘চিহ্নিত এক মাদক ব্যবসায়ীসহ’ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার এজহারে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করা হয় সেখানে। নাম উল্লেখ করা বাকি আসামিরা হলেন স্থানীয় রফিক মিয়ার ছেলে মো. সাব্বির হোসেন (২৮), কানু মিয়ার ছেলে সুমন (৩২), নূর আলীর ছেলে জিসান মিয়া, কানাই মিয়ার ছেলে রনি (৩২), নবগ্রাম এলাকার সোহেল ওরফে জেল সোহেল (২৮), সায়মন (৩০), সংরাইস এলাকার সাজন (৩২), মাসুম (৩৫) তেলিকোনা এলাকার আশিকুর রহমান রকি (৩২) ও সুজানগর বৌবাজার এলাকার আলম (৩৫)।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল ২০১২ ও ২০১৭ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।