বাংলাদেশে কিছু লোক আছে যারা তিল কে তার বানায় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, “আমি বৃহস্পতিবার বলেছি যে, ভারতের সঙ্গে আলোচনায় তাদের কে বলেছি বাংলাদেশে শেখ হাসিনা আছে বলেই বাংলাদেশ স্থিতিশীলতা আছে। আমরা কোনো ধরনের উশৃঙ্খল চাই না। আপনার দেশে ও আমাদের দেশে কিছু দুষ্টু লোক আছে যারা তিল কে তাল করে। আপনাদের কিছু সাংবাদিক দেশের অস্থিতিশীল করতে চায় বলেই এসব সংবাদ প্রচার করছে।”
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষে গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা আছেন বলেই আমাদের দেশের উন্নয়ন হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এদেশে যত নাগরিক আছে সে যেকোনো ধর্মের হোক, সবার সমান অধিকার। শেখ হাসিনা যদি সরকারে থাকেন তাহলে স্থিতিশীলতা থাকে। আর স্থিতিশীলতা থাকলেই আমাদের উনয়নের মশাল অব্যাহত থাকবে।”
দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেন, “হঠাৎ করে দাম বেড়ে গেল। যে তেল ৯০ টাকা ছিল সেটা হয়ে গেল ১৫০ টাকা। আমি এটা কোনোভাবে অংকে মেলাতে পারি না। মোট ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৮ টাকা প্রতি লিটারে। দাম ধরা উচিত ছিল এক টাকা বা কয়েক পয়সা। কিন্তু একি কাণ্ড! যে এত দাম! সবকিছুর দাম হু হু করে বেড়ে উঠল। আমরা এই জন্য খুব উদ্বিগ্ন। শেখ হাসিনার সরকার সাধারণ মানুষের বন্ধু। আমরা সরকারে আছি সাধারণ লোকের জন্য। মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।”
আব্দুল মোমেন আরও বলেন, “ইসরাইলে যখন যুদ্ধ হয় তেলের দাম বাড়ে আর পৃথিবীতে খাদ্য ঘাটতি হয়। এখন ৫০ বছর পরে আমি তাজ্জব এখনো তেলের দাম বেড়েছে। যুদ্ধ একটা লেগেছে আর খাদ্য দ্রব্যেরও দামও বাড়তে শুরু করেছে। এটা খুব আশ্চর্যের বিষয়। তবে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ এ দেশটা আমাদের। দেশে যদি অস্থিতিশীলতা তৈরি হয় তাহলে যারা অপপ্রচার করে তারাও ভালো থাকতে পারবে না।”
এর আগে, তিনি জাতির পিতার সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।