• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কারখানা মালিকের সঙ্গে ঝামেলা, ২ নৈশপ্রহরীকে হত্যা


বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২, ০৯:০৩ পিএম
কারখানা মালিকের সঙ্গে ঝামেলা, ২ নৈশপ্রহরীকে হত্যা

বগুড়া শহরের বিসিক শিল্পনগরীর মাসু অ্যান্ড সন্স নামের ঢালাই ফ্যাক্টরির মালিকের সঙ্গে ঝামেলা চলে আসছিল দুর্বৃত্তদের। পরে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবিতে দুই নৈশপ্রহরীকে অপহরণ করে তারা। পরেরদিন তাদের কর্মস্থলের সেফটিক ট্যাংক থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হচ্ছেন বগুড়া সদরের বড় সরলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল হান্নান (৪৫) ও শিবগঞ্জ উপজেলার প্রতাপবাজু গ্রামের মৃত হাসু আলীর ছেলে সামছুল হক (৩৪)। নিহত দুইজনই বগুড়া শহরের বিসিক শিল্পনগরীর মাসু অ্যান্ড সন্স নামের ঢালাই ফ্যাক্টরির নৈশ প্রহরী ছিলেন।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত হান্নানের চাচা নুরুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে ডিউটিতে যায় হান্নান। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হান্নানের মোবাইল ফোন থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার স্ত্রী হিরা খাতুনকে ফোন করে বলে তোমার স্বামীকে ফিরে পেতে হলে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। এদিকে সকাল ১০টার দিকে হান্নান বাড়ি না ফিরলে তার স্ত্রী স্বামীর কর্মস্থলে যান। সেখানে জানতে পারেন তার স্বামীর সঙ্গে ডিউটিরত অপর নৈশপ্রহরী সামছুল হকও নিখোঁজ।

এদিকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ফ্যাক্টরির পরিচালক মোস্তফা আলীমুর রাজীবের কাছে ফোন করে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি পুলিশকে বৃহস্পতিবারেই জানানো হয়। এদিকে শুক্রবার দুপুরের পর ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ রফিকুল নামের সাবেক এক নৈশপ্রহরীকে ডেকে এনে ফ্যক্টরির মধ্যে তল্লাশি করতে বলে। বিকেলের দিকে ফ্যাক্টরির পিছনে সেফটিক ট্যাংকির মধ্যে থেকে দুইজনের মরদেহ সন্ধান পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে।

হান্নানের স্ত্রী হিরা খাতুন বলেন, “অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোন করে বলেছে তোমার স্বামীর সঙ্গে কোনো শত্রুতা নাই। ফ্যাক্টরির মালিকের সঙ্গে ঝামেলা আছে। এজন্য তোমার স্বামীকে আটকানো হয়েছে। ফ্যাক্টরির মালিক ৫ লাখ টাকা দিলে তোমার স্বামীকে ছেড়ে দিব।”

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি রহস্যজনক। বাহির থেকে ভিতরে প্রবেশের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ফ্যাক্টরির ভিতরে কোনো মালামাল খোয়া যায়নি। রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে”

Link copied!