সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ারবিল গ্রামে কপোতাক্ষ নদের বেঁডিবাঁধে হঠাৎ ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
এছাড়া ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বেঁড়ি বাঁধ সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, “গত অমাবস্যার সময় থেকে প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ারবিল গ্রামের কপোতাক্ষ নদ এলাকায় বেড়িবাঁধের প্রায় ২০০ ফুট স্থানজুড়ে আকস্মিকভাবে ভাঙন শুরু হয়। ইতোমধ্যে নদের অব্যাহত ভাঙনে মূল বেডিবাঁধের প্রায় তিনশ ফুট এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সামনের বর্ষা মৌসুমে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এতে ভেঙে যাবে বিস্তীর্ণ এলাকা, সেইসঙ্গে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে ইউনিয়নটির একটি বড় অংশের।
অন্যদিকে প্রতাপনগর ইউনিয়নের শ্রীপুর, কুড়িকাহানিয় গ্রামের লঞ্চঘাটের উত্তর ও দক্ষিণ সীমানা এবং মাদারবাড়িযা খেয়াঘাটাসংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিযেছে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে প্রতাপনগরের রুইয়অরবিল, কুড়িকাহানিয়া, সুভদ্রাকাটি, চাকলা, মাদারবাড়িয়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়ানুর রহমান।
এ সময় ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান।
এর আগে ঘুর্ণিঝড় আম্ফান ও ইয়াসের প্রভাবে কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে জোয়ার-ভাটায় প্লাবিত হয়ে প্রায় দুই বছর প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি জীবনযাপন করেছেন। সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী ইউনিয়নবাসী।