• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ওয়াগ্গায় লেবুর বাম্পার ফলন


রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২, ০৮:৫০ এএম
ওয়াগ্গায় লেবুর বাম্পার ফলন

রাঙামাটি কাপ্তাই উপজেলাধীন ৫ নম্বর ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী এলাকায় এবার লেবুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ওয়ার্ডের অধিকাংশ কৃষকেরা জমিতে লেবুসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

ফল ও সবজির মধ্যে রয়েছে পেঁপে, লেবু, টমেটো, লাউ, বেগুন, শসা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলু, লালশাক, শিম, কাঁচা মরিচ ইত্যাদি।

এ বছর কাপ্তাইয়ে লেবুর বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি বাজারে লেবুর দাম ভালো পাওয়ায় চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লেবুর দাম ও বাজারজাত নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলেও সেই চিন্তা এখন কেটে গেছে চাষিদের। লেবু বিক্রি করে তাই বেশ খুশি কৃষকরা।

চাষকৃত বিভিন্ন সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। ওই গ্রামের কৃষক সুমেল তঞ্চঙ্গ্যা লেবু ও সবজি চাষে সাফল্য চমকে দেন। শুধু সুমেল তঞ্চঙ্গ্যা নন, ওয়াগ্গা ইউনিয়নে এরকম অনেক সফল সবজি চাষি রয়েছেন। যাদের সাফল্য অন্যদের উজ্জীবিত করছে। 

সফল কৃষক ও উদ্যোক্তা সুমেল তঞ্চঙ্গ্যা জানান, তিনি নামমাত্র পড়ালেখা করেছেন। অভাবের তাড়নায় বেশি পড়ালেখা করা সম্ভব হয়নি। এরপর জীবনের তাগিদে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন কৃষিকাজে। একপর্যায়ে শুরু করেন লেবু, পেঁপে ও শাকসবজি  চাষ। এ চাষের বদৌলতে বদলে গেছে তার ভাগ্য। তার পরিবারের আর্থিক অনটন অনেকটা কেটে গেছে। প্রতিবারের মতো এ বছরও তিনি দেড় জমিতে লেবু, পেঁপে, আর দেড় একর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিমসহ হরেক রকমের সবজি চাষ করেছেন। একই ভাবে ওয়াগ্গা ইউনিয়নের বটতলী  গ্রামের সুজয় তঞ্চঙ্গ্যা, পাভেল তঞ্চঙ্গ্যা সবজি চাষে লাভবান হয়ে উঠছেন।

সরজমিনে ওয়াগ্গা ইউনিয়নের বটতলীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর ব্যাপকভাবে সবজি চাষ করা হয়েছে। এক সময় এসব এলাকা মিষ্টি আলু চাষের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। কিন্তু তাতে মন্দা দেখা দেওয়ায় এখন লেবু, পেঁপে, টমেটো, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন চাষিরা। এখানকার কৃষকরা বলছেন, সরকারের আর্থিক সহযোগিতা পেলে এই ইউনিয়ন থেকে কৃষি বিপ্লব ঘটানো সম্ভব হবে। 

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুল আলম চৌধুরী জানান, এ বছরে কাপ্তাই প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে লেবুর চাষ হয়েছে। সারা বছরই লেবুর ফলন পাওয়া যায় বলে এখানে লেবুর চাষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রতিনিয়তই এখানে লেবুচাষিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, কম পরিশ্রমে ও বেশি ফলন হওয়ার কারণে লেবু চাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষিরা। তাছাড়া লেবুর চাষে খুব একটা কীটনাশকের ব্যবহারে প্রয়োজন হয় না। আমরা লেবু চাষের ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। যেহেতু করোনা মহামারি চলছে এখন প্রচুর ভিটামিন সি খাওয়ানো প্রয়োজন, তাই লেবুর খাওয়া চাহিদা বেড়ে গেছে ফলে পূর্বেকার যেকোনো সময় তুলনায় এই বছর কৃষকদের উৎপাদিত লেবুর বিক্রির বেড়ে গেছে।

Link copied!