বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত সরকারের উপহারের ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে চতুর্থ চালানে আরও ২৯টি অ্যাম্বুলেন্স এসেছে বাংলাদেশে।
রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে অ্যাম্বুলেন্সগুলো বেনাপোল বন্দরের চ্যাচিজ টার্মিনালে প্রবেশ করে।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট তৃতীয় চালানে ৪০টি, ৭ আগস্ট দ্বিতীয় চালানের ৩০টি এবং ২১ মার্চ প্রথম চালানে ১টি অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসে। এ নিয়ে চার চালানে ১০০টি অ্যাম্বুলেন্স আসলো বাংলাদেশে।
বেনাপোল আমদানি ও রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, প্রতিবেশি দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পাশাপাশি রয়েছে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের সম্পর্ক। এরই সূত্র ধরে বিভিন্ন দুর্যোগকালিন সময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। বন্ধুত্বের জানান দিতে বাংলাদেশও ক্ষুদ্র রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের পাশে থাকেছে সাধ্যমত। ভারতের রফতানি বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র বাংলাদেশ। ভ্রমণ আর চিকিৎসা সেবায় প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকেও লাখ লাখ মানুষ যায় ভারতে। ভারতে কোনো দুর্যোগ হলে সহজে তার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে তেমনি বাংলাদেশে কোনো অশান্তি হলে তার ছোয়া লাগে ভারতে। চলামান করোনায় যেমন বাণিজ্য ক্ষাতে তেমনি ভ্রমণ খাতে ধস নামে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চলতি বছরে ২৬ ও ২৭ মার্চ দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশ আসেন। এসময় দেশে স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন আর চলমান করোনা পরিস্থিতি যৌথ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে ১০৯ টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহারের ঘোষণা দেয়।
অ্যাম্বুলেন্স আমদানি কারকের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান জানান, অ্যাম্বুলেন্সের আমদানিকারক ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার। বন্দর থেকে ছাড় করাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জেড আর করপোরেশন। গত ২১ মার্চ একটি অ্যাম্বুলেন্স আসে বাংলাদেশে। পরে ৭ আগস্ট দ্বিতীয় চালানে আসে ৩০টি, তৃতীয় চালানে ২৬ আগস্ট প্রবেশ করে ৪০টি, আজ চতুর্থ চালানে আসে ২৯টি। এনিয়ে চার চালানে আসল ১০০টি অ্যাম্বুলেন্স। আগামী মাসে বাকি ৯টি অ্যাম্বুলেন্স ঢুকবে দেশে।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বলেন, ভারতে করোনা যখন মহামারি অবস্থা তখন বাংলাদেশ সরকার ওষুধ দিয়ে সাহায্য করেছে। ভারতও অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। এমন সম্পর্ক আগামীতে বাণিজ্য ও বন্ধুত্বকে আরো জোরদার করবে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, উপহারের অ্যাম্বুলেন্স শুল্ক মুক্ত সুবিধায় কাস্টমস থেকে খালাস দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত যাতে ছাড় হয় সেজন্য বিশেষ টিম গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মো. মনুরুজ্জামান বলেন, বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অ্যাম্বুলেন্স নেওয়া হবে ঢাকাতে। পরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তারা সরকারের প্রতিনিধিদের হাতে উপহার তুলে দিবেন।