নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলায় ভাড়া বাড়ি থেকে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার শান্তিনগর এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় নিহতের স্বামী সোহেল আহমেদ অপুকে আটক করা হয়।
পরে বিকেলে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নিহত রাবেয়া বেগম (৩৫) ভোলার তাল্লুককান্দা গ্রামের তোফাজ্জল সিকদারের মেয়ে। তিনি স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ফতুল্লায় ভাড়া থাকতেন।
স্থানীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত রাবেয়া এলাকায় লোকজনকে সুদে টাকা দিতেন। এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলায় তার স্বামী তাকে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। এদিকে দেড় মাস আগে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাসা থেকে চলে যায় অপু। গতকাল সোমবার রাতে অপুকে বাসায় আসতে দেখেন স্থানীয়রা। এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে তার স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ ঘরের ভেতরে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূকে তার স্বামী গলাকেটে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় স্বামী অপুকে আটক করা হয়েছে।”
এছাড়া থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।