অনেক উন্নত দেশেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সংখ্যা কম। বছরে তাদের একটি পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা কম মানে অবমুল্যায়ন নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি। তিনি বলেন, “সারাক্ষণ পড়া, কোচিং আর পরীক্ষা নয়। শিক্ষার্থীদের মানবিক ও সব বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। কম পড়িয়ে, কম পরীক্ষার মধ্যেই দক্ষতা বাড়ে। তাই করোনাকালে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।”
রোববার (১৩ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্ত্রী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “গবেষণা ছাড়া সব মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করা সম্ভব নয়। গবেষণায় শিক্ষার মান উন্নয়নে জাতীয়করণের ইতিবাচক ফল এলে আর্থিক সক্ষমতা বুঝে জাতীয়করণ করা হবে। অন্যথায় সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা সম্ভব নয়। কারণ, শিক্ষার মান উন্নয়নই এ সরকারের প্রধান লক্ষ্য। শেখ হাসিনা সরকার, শিক্ষা বান্ধব সরকার।”
ডা. দীপুমনি বলেন, “দেশে এখন শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়ার হার অনেক কমে গেছে। আমরা সবাইকে শিক্ষায় নিয়ে আসতে পেরেছি। আমরা শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছি। আমরা চাইছি শুধু শিক্ষা নয়, শিক্ষার্থীদের মাঝে সব বিষয়ে দক্ষতা বাড়িয়ে দক্ষ ও ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। বঙ্গবন্ধ যেমন সোনার বাংলায় সোনার মানুষ চেয়েছেন। আমরা সেই সোনার মানুষ তৈরিতে কাজ করছি।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “উন্নত শিক্ষায় পরীক্ষার সংখ্যা অনেক কম। পরীক্ষা কম মানে অবমুল্যায়ন নয়। সারাক্ষণ পড়া, কোচিং আর পরীক্ষা নয়। শিক্ষার্থীদের মানবিক ও সব বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। উন্নত দেশেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সংখ্যা কম। কম পড়িয়ে, কম পরীক্ষার মধ্যেই দক্ষতা বাড়ে। সীমিত সম্পদে সর্বোচ্চ কিভাবে ব্যবহার করতে পারবো। সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। সেভাবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে। তাই শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করা হচ্ছে।”
এছাড়া বক্তব্য শেষে নুরুল দীনের জেলা লালমনিরহাটে নুরুল দীনের একটি কবিতা আবৃত্তি করে শোনান শিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, “নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যরাই কোন ধরনের সুপারিশ ছাড়াই এমপিও ভুক্ত হবেন। আর যারা নীতিমালার শর্তপুরণে ব্যর্থ তারা কোনভাবেই এমপিও ভুক্ত হবেন না।”
এছাড়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান, জেলা প্রশাসক আবু জাফর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. মোজাম্মেল হক, কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ সরকার প্রমুখ।
এর আগে উত্তর বাংলা কলেজের গুরু নানক লাইব্রেরী, কম্পিউটার ল্যাবসহ কলেজের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
এদিকে সকালে একদিনের সফরে লালমনিরহাট আসেন শিক্ষামন্ত্রী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী। এরপর সড়ক পথে দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে লালমনিরহাট ত্যাগ করেন মন্ত্রীদ্বয়।