ব্লগার ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য) হাইকোর্টে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) এ ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছায় বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গত ৩০ মার্চ সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আবুল হোসেন (২৫), ফয়সাল আহমদ (২৭), মামুনুর রশীদ (২৫) ও আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫)।
২০১৫ সালের ১২ মে সকালে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারে নুরানী আবাসিক এলাকায় নিজ বাসা থেকে কয়েক গজ দূরের রাস্তায় হত্যাকাণ্ডের শিকার অনন্ত বিজয়।
হত্যাকাণ্ডের পর অনন্ত বিজয়ের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করা হয়। বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়।
পরে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হলে তদন্তের পর পরিদর্শক আরমান আলী ২০১৭ সালের ৯ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে সন্দেহজনকভাবে আটক ১০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
মামলায় ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন। ছয় আসামির মধ্যে মান্নান রাহী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তিনি ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান।
অনন্ত বিজয় পেশায় ব্যাংকার ছিলেন। তিনি বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখি করতেন। পাশাপাশি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে ২০১৩ সালে গড়ে ওঠা গণজাগরণ আন্দোলনে সিলেটে সংগঠকের ভূমিকাও পালন করেন অনন্ত বিজয়।