কক্সবাজারের রামু উপজেলার চার স্কুলছাত্রকে সেন্টমার্টিনে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় অপহরণের ঘটনায় তিন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
তিনজনকে মূলত এই অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতভর অভিযান চালিয়ে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এক নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম জানান, নয়াপাড়া ক্যাম্পে চার অপহৃত স্কুলছাত্রকে উদ্ধারে অভিযান চালায় এপিবিএন সদস্যরা।
আটক তিনজন হলেন টেকনাফ ক্যাম্পের এইচ-৪ ব্লকের নূর সালাম ও তার ১৩ বছর বয়সী মেয়ে এবং মৌছনী পাড়ার সাদ্দাম মিয়া। অপহরণকারী রোহিঙ্গা ইব্রাহিম ও জাহাঙ্গীরের নিকটতম আত্মীয় তারা।
তবে এখনো পর্যন্ত চার স্কুলছাত্র মোহাম্মদ কায়সার (১৪), একই এলাকার মিজানুর রহমান নয়ন (১৪), জাহেদুল ইসলাম (১৫) ও মিজানুর রহমানকে (১৪) উদ্ধার করতে পারিনি।
এসপি তারিকুল বলেন, “চার স্কুলছাত্র অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে রামু থানায় চার ছাত্র নিখোঁজের অভিযোগ করেন স্বজনরা।
অভিযোগে বলা হয়, কক্সবাজারের রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় চার স্কুলছাত্রের। ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে চারজনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম। বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে তাদের খোঁজ মিলছে না।
স্বজনদের অভিযোগ, নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর বুধবার দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে। আর তা না পেলে মরদেহ ফেরত পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়।