‘বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে ১০০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পে’ অন্তর্ভুক্ত করে দেশের তিন পার্বত্য জেলার ১৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে বিশেষ বিবেচনায় জাতীয়করণের সুপারিশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের ‘পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’ নবম বৈঠকে এ-সংক্রান্ত পুনঃসুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকে পার্বত্য শান্তিচুক্তির অধীনে প্রণীত প্রবিধান/নীতিমালা অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি নিয়োগ প্রক্রিয়া জেলা প্রশাসকের পরিবর্তে জেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত করারও সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বলা হয়, তিন পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত প্রধান শিক্ষকের সংখ্যা ১ হাজার ৪৮ জন ও সহকারী শিক্ষকের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৮৯ জন। এছাড়া জেলা তিনটির বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের সংখ্যা ৪৬৯টি এবং সহকারি শিক্ষকের শূন্য পদের সংখ্যা এক হাজার ১১৬টি। এসব শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
জাতীয় সংসদ ভবনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি কমিটির সভাপতি মো. দবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং বাসন্তী চাকমা অংশ নেন। আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ, মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানীয় প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।