• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সড়কের অভাবে থমকে আছে সাত গ্রামের উন্নয়ন


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২, ১২:০৪ পিএম
সড়কের অভাবে থমকে আছে সাত গ্রামের উন্নয়ন

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি পাবনার চাটমোহর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে। ফলে বিভিন্ন সরকারের পালাবদল হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত এই গ্রামগুলোর মানুষ। 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের নবীন ও চরনবীন, ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙ্গলমোড়া, বরদানগর, নিমাইচড়া ইউনিয়নের বিন্যাবাড়ি, গৌড়নগর-করকোলা হয়ে মির্জাপুর অভিমুখী প্রায় ১০ কিলোমিটার গ্রামীণ উঁচুনিচু কাঁচা সড়কের কোথাও লাগেনি পাকা সড়কের ছোঁয়। এ ১০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে এক থেকে দেড় কিলোমিটার রাস্তা হেরিংবোন বন্ড (এইচবিবি) করা হলেও বাকি পুরো রাস্তাই কাঁচা। এই সড়কের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ৭ গ্রামের নিবিড় সম্পর্ক। 

লাঙ্গলমোড়া গ্রামের বাসিন্দা বাবলুর রহমান জানান, সামান্য রাস্তায় ইট বিছানো। বাকি রাস্তাই কাঁচা মাটির। হান্ডিয়াল ইউনিয়নের নবীন গ্রাম থেকে ছাইকোলা ইউনিয়নের চরনবীন-বরদানগর এবং নিমাইচড়া ইউনিয়নের গৌড়নগর-করকোলা হয়ে যে রাস্তাটি মির্জাপুর পর্যন্ত। ইট বিছানো রাস্তাও চলাচলের অনুপযোগী। এ রাস্তায় রিকশা, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাস, ট্রাক কিছুই চলাচল করে না। হেঁটে যাতায়াত করতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল খালেক, সোলেমান মিয়া, কামরুল ইসলাম, রইচ আহমেদ, বকুল শেখসহ কমপক্ষে ২০ জন মানুষের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, চরনবীন হামিদা মমতাজ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চরনবীন মাদ্রাসা, লাঙ্গলমোড়া উচ্চবিদ্যালয়, বরদানগর মাদ্রাসা, বিলচলন উচ্চবিদ্যালয়সহ বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করতে শত শত শিক্ষার্থীকে পায়ে হেঁটে প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে কষ্ট করে পায়ে হেঁটে কোনোরকমে যাতায়াত করলেও বছরের প্রায় ছয় মাস রাস্তাটি কর্দমাক্ত থাকে। তখন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে অবর্ণনীয় কষ্টে হাট, বাজার, উপজেলা সদরসহ গন্তব্যে যাতায়াত করতে হয়।  
নবীন গ্রামের আরমান হোসেন বলেন, গ্রামে চলার মতো কোন রাস্তা নেই। যে কাঁচা রাস্তা আছে বর্ষাকালে সেটিও ডুবে যায়। তখন নৌকাই হয় চলাচলের একমাত্র ভরসা। 

চরনবীন হামিদা মমতাজ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকরাম হোসেন, বরদানগর গ্রামের রতন হোসেন, বিন্যাবাড়ি গ্রামের শাহিনুর রহমান রিপন, গৌরনগর গ্রামের জিয়া এবং করকোলা গ্রামের ক্ষিতিশ চন্দ্র দাসসহ এলাকার অন্যান্যরা জানালেন, গুমানী নদীর পাড়ের এ এলাকার রাস্তা ঘাটে উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় পরিবর্তন ঘটছে না তাদের জীবন মানের। পাকা রাস্তা না থাকায় এবং নদীর প্রতিবন্ধকতার কারণে অনেক সময় রোগী এবং সন্তানসম্ভবা নারীকে জরুরিভাবে হাসপাতালে নিতে পারেন না তারা। 

চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, ছাইকোলা থেকে মির্জাপুর জিসি রোড ভায়া বরদানগর-লাঙ্গলমোড়া রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ। তবে এ রাস্তাটি এখনো প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হলে তখন হয়তো রাস্তাটি করা সম্ভব হতে পারে। ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রাস্তার নদীর পশ্চিমপাড়ে ছাইকোলা গ্রামের মধ্যে দেড় কিলোমিটার বেশ আগেই পাকাকরণ করা হয়েছে। অন্যান্য এলাকাকেও উন্নয়নের আওতায় আনতে কাজ করছেন তারা।

Link copied!