• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩০, ১৫ রজব ১৪৪৬

৩২৫ বিঘা আমনক্ষেত পানির নিচে


পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২১, ০৯:২৩ পিএম
৩২৫ বিঘা আমনক্ষেত পানির নিচে

পঞ্চগড়ের বোদায় জলাবদ্ধতা নিরসন করে আমনক্ষেত রক্ষা, ফসলের ক্ষতিপূরণসহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারী প্রভাবশালী দিলদার হোসেনের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে তিন গ্রামের কয়েক শত কৃষক-কৃষানি।

শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার ঝলইশালশিরি ইউনিয়নের ভাবরঙ্গি এলাকায় ওই ইউনিয়নের বড়ুয়াপাড়া, হরিপুর ও সরকারপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালনসহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় শংকর পদ দে, বিশ্বজিত দে, পদলোচন দে ও তৌহিদুল ইসলাম বক্তব্য দেন। বক্তারা জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত আমনের ক্ষতিপূরণ, জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারী প্রভাবশালী দিলদার হোসেনের বিচার ও ভাবরঙ্গি ফসলি মাঠে থেকে জলাবদ্ধতা দূর করে ফসল রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ওই এলাকার প্রভাবশালী দিলদার হোসেন ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে, পুকুরের পাড় তৈরি করে পানিনিষ্কাশনের পথ সরকারি কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেয়। এতে ভাবরঙ্গি ফসলি মাঠ থেকে বর্ষার পানি বের হওয়ার মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই ফসলি মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ভাবরঙ্গি ফসলি মাঠের ৩২৫ বিঘা আমন ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পানিতে তলিয়ে থাকা আমন চারাগুলো পচন ধরেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন করা না হলে ভাবরঙ্গি ফসলি মাঠের সোয়া তিনশত বিঘা আমনক্ষেত সম্পূর্ণ বিনষ্ট হবে। কালভার্টের মুখ বন্ধ থাকায় ওই এলাকার কয়েকটি গ্রামও প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কালভার্টের মুখ খুলে দিয়ে আমন ফসল রক্ষায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে ধর্না দিয়েও কোনো ফল হয়নি।

এ বিষয়ে দিলদার হোসেন বলেন, নিজের জমিতে পুকুর খনন করেছি। সরকারি কোনো কালভার্টের মুখ বন্ধ করিনি। পানি নিষ্কাশনে গ্রাম বাসিরা আমার কাছে আবেদনও করেনি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জলাবদ্ধতার ফসলের ক্ষতির কথা জানিয়ে বলেন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোলেমান আলী জানান, অভিযোগ পেয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। পানিনিষ্কাশনের জন্য কালভার্টের মুখ খুলে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আজকের মধ্যে কালভার্টের মুখ খুলে না দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Link copied!