সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।
মাগুরা
রাত ১২টা ১ মিনিটে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়র্দী কলেজ শহীদ মিনারে প্রথমে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর। এরপর একে এক জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুন্ডু, পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান পুষ্পার্ঘ নিবেদনের মধ্যে দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন, জেলা বিএনপি, জেলা জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়াকার্স পার্টিসহ বিভিন্ন ক্লাব ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ নিবেদনের মধ্যে দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মেহেরপুর
যথাযোগ্য মর্যাদায় মেহেরপুরে পালিত হচ্ছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে রাত ১২টা ১ মিনিটে শহরের ড. শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে অবস্থিত শহীদ মিনারে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার রাফিউল আলম শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম শাহীনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল থেকে জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রার্থনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর
একুশের প্রথম প্রহরে লক্ষ্মীপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। রোববার রাত ১২টা ১মিনিটে শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠন, বিভিন্ন ছাত্র ও যুব সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভুঁইয়া, সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কুল প্রদীপ চাকমা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন, পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডা. আশফাকুর রহমান মামুন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমরা অত্যন্ত গভীরভাবে ভাষা শহীদদের স্মরণ করছি। যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন তাদের লক্ষ্মীপুরের সর্বস্তরের মানুষ স্মরণ করেছে। বাঙালি জাতি অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে সমুন্নত রাখার জন্য যারা তাদের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছিলেন এই প্রহরে তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
ফরিদপুর
মহান একুশের প্রথম প্রহরে ফরিদপুরে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছেন প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের হাজারো মানুষ। ফরিদপুর শহরের অম্বিকা হলের সামনের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
এরপর শ্রদ্ধা জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ফরিদপুর প্রেসক্লাব, সিভিল সার্জনসহ সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও ফরিদপুর জেলা পরিষদ, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, ছাত্রলীগ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার ২১ শে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে অবস্থিত শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক একেএম গালিব খান। পরে পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দল পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
এদিকে দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ সদর আসনের সাবেক সাংসদ মো. আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস। পরে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। প্রদক্ষিণ শেষে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে অবস্থিত শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
সাতক্ষীরা
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরায় অমর একুশের প্রথম প্রহর অতিবাহিত হয়েছে।
একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহীদ বেদি।
এর আগে রাত ১২টা ১ মিনিটে সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর।
এরপর একে একে জেলা বিচার বিভাগ, জেলা পুলিশ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সৈয়দ ইফতেখার আলীর নেতৃত্বে জেলা বিএনপি, জেলা জাসদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি, জেলা জাতীয় পার্টি, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, উদীচী, সাতক্ষীরা জেলা প্রেসক্লাব, সম্মিলিত সাংবাদিক এ্যাসোসিয়েশন, মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল দ্য এডিটরস, দৈনিক পত্রদূত, বারসিক সাতক্ষীরা রিসোর্স সেন্টার, সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি, সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ দুই শতাধিক রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও শ্রমজীবী সংগঠন শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে।
ভোলা
মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার দাবিতে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণের মধ্যদিয়ে ভোলায় পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রোববার রাত ১১টা থেকে ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন। এ সময় শ্রদ্ধার ফুল হাতে নিয়ে শোকের আবেশে সাদা-কালো পোশাকে খালি পায়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদ মিনারে।
রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ বেদিতে প্রথমেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৈফিক ই-লাহী চৌধুরী। এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানান পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দোস্ত মাহামুদ ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস পালিত হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, প্রভাতফেরি ও আলোচনা সভা।
একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। সকাল ৭.৩০ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করা হয় এবং কালো পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরী। ৭.৪০ মিনিটে কালো ব্যাজ ধারণ ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে এক প্রভাতফেরি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সকাল ৮টায় কৃষি অনুষদ সংলগ্ন কনফারেন্স রুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সৌরভ দেবনাথের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অমর একুশের প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম এফ আবদুল মঈন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ূন কবির, ট্রেজারার ড. মো. আসাদুজ্জামান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু তাহের, প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এরপর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সংগঠন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নুরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ.স.ম. ফিরোজ উল হাসান ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার রহিমা কানিজ উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন।
উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, সাংবাদিক সমিতি, শাখা ছাত্রলীগ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন,বিভিন্ন হল ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় প্রশাসনিক ভবন-২-এর সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জাতীয় পতাকা ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন।
সকাল ৮টা ১০ মিনিটে গোল চত্বর থেকে প্রভাতফেরি শুরু হয়। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
(প্রতিবেদনটি তৈরি করতে সহায়তা করেছেন সংবাদ প্রকাশের সংশ্লিষ্ট জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিরা।)