ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতদের খোঁজে নদীর তীরে ভিড় করছেন স্বজনেরা। এ সময় প্রিয়জনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে সেখানকার পরিবেশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত তিনটার দিকে ঝালকাঠি সদরের দিয়াকুল গ্রামের কাছে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চটিতে আগুন লেগে যায়।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে রওনা হওয়া লঞ্চটিতে ৮০০ যাত্রী ছিলেন। পথে ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদীতে দুর্ঘটনার শিকার হয় লঞ্চটি। লঞ্চ থেকে বেঁচে ফেরা যাত্রীরা জানা, লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার সময় বেশিরভাগ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন। যাত্রীদের অভিযোগ, লঞ্চতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ছিল।
এদিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় দগ্ধ ৭০ জনকে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ১৫ জনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদারক করছেন। উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় পাঁচটি ইউনিট কাজ করছে।
এদিকে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে ঝালকাঠির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি।