রাজশাহীতে মহা ধুমধামে বিয়ে দেওয়া হলো দুই গাছের। মহানগরীর খড়খড়ির বাইপাসে শ্রীশ্রী গোপালদেব ঠাকুর মন্দিরে বট ও পাকুড়গাছের মধ্যে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
বিয়েতে বর ছিল বটগাছ, যার নাম রাখায় হয়েছির বিজয়। অন্যদিকে কনেরূপী পাকুড়ের নাম রাখ হয় বনলতা। নারায়ণ পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
বিয়েতে আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। বর-কনের পাশে ছাদনাতলা সাজানো হয়। টাঙানো হয়েছিল শামিয়ানা। হিন্দু রীতি মেনে কলাগাছ দিয়ে সাজানো ছিল বিয়ের আসর। দিনভর গানবাজনা চলে।
দুই গাছে বিয়েতে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থাও। হাজারখানেক অতিথি খেয়েছেন বিয়ের নিমন্ত্রণ।
স্থানীয়রা জানান, হিন্দুশাস্ত্রমতে পাশাপাশি বট-পাকুড়গাছ থাকলে তাদের বিয়ে দিতে হয়। এই রীতি মেনেই শনিবার ধুমধাম করে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুরোহিত পুলক আচার্য বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতার দায়িত্বে ছিলেন। গোধূলিলগ্নে মন্ত্র পড়ে বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করেছেন তিনি।
বিয়ের এই আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের বিষয়ে মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার বলেন, হিন্দুশাস্ত্রে আছে বট-পাকুড় পাশাপাশি থাকলে তাদের বিয়ে দিতে হয়। সেই রীতি মেনেই এ আয়োজন। বট-পাকুড় এখন আজীবন এভাবে পাশাপাশি থাকবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।