যৌতুক না পেয়ে রুপা আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামী কামরুল হাসানকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বক্তারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৯ মাস আগে কামরুল হাসানের সঙ্গে রুপার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নানাভাবে নির্যাতন করতেন স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। পরে রুপার বাবা কামরুলকে আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসেট এবং ব্যবসা করার জন্য ৩ লাখ টাকা ও আসবাব কিনে দেন। ১৫ দিন আগে কামরুল ব্যবসা করার কথা বলে স্ত্রীর বাড়িতে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে রুপাকে শারীরিক নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে রুপা কয়েক দিন আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে আসেন। পরে কামরুল হাসান আর নির্যাতন করবেন না, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে রুপাকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কামরুলের বাবা নজরুল ইসলাম রুপার পিতাকে ফোন করে জানান তার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পরে সেখানে গিয়ে দেখেন রুপা মারা গেছেন।
রুপার বাবা রসুল উদ্দিন বাদী হয়ে কামরুল ইসলাম ও তার বাবা নজরুল ইসলাম এবং কামরুলের মাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ নিহতের স্বামী কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।