নেত্রকোনার দুর্গাপুরে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা অভিযোগে হাবিবুল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে স্বামী ও শাশুড়িকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেন।
নিহত গৃহবধূর বাবা সাংবাদিকদের জানান, বিয়ের পর হাবিবুল্লাহ মা ছালমা আক্তারের প্ররোচনায় স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এতে অসম্মতি জানালে হাবিবুল্লাহ তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। মেয়ের কথা চিন্তা করে তিনি হাবিবুল্লাহকে ৬ লাখ টাকা দেন, কিন্তু ওই টাকা দেওয়ার পরও আরও ৪ লাখ টাকার জন্য স্ত্রীর ওপর চাপ দেন হাবিবুল্লাহ। এ নিয়ে তিনি প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন।
গৃহবধূর বাবা আরও জানান, সোমবার সকালেও হাবিবুল্লাহ তার মেয়ের কাছে যৌতুকের ৪ লাখ টাকা দাবি করেন, কিন্তু মেয়ে তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যা করে মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন হাবিবুল্লাহ। পরে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালান হাবিবুল্লাহ ও তার বাড়ির লোকজন।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, “ঘটনার পরপরই গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কিন্তু তার শাশুড়ি পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”