চুয়াডাঙ্গায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান। ময়না তদন্ত শেষে তার মরদেহ শুক্রবার বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
চুয়াডাঙ্গা কারাগারের জেল সুপারের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বিএম তারিক উজ-জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাসেম আলী (২৯) দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বকুল হোসেনের ছেলে। হাসেমের স্ত্রী ও পাঁচ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা কারাগারের জেলার শওকত হোসেন মিয়া বলেন, “রাত সাড়ে ১২টার দিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হাসেম আলী হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করে চিল্লাচিল্লি করতে থাকেন। এ সময় দ্রুত তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখানে রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেল ৫টায় মরদেহ তার ছোট ভাই আব্দুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল একটি ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন (৩০বছর) সাজা হয় হাসেম আলীর।