যশোরের শার্শায় মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর মা নিজেও বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে শার্শার শুড়ার ঘোপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা সুমি বেগম (২৫) ও তার মেয়ে আঁখিমনি (৫)। পারিবারিক কলহে পিতার ওপর অভিমান করে সুমি বেগম এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
সুমির মামা কামরুজ্জামান জানান, গত পাঁচ বছর আগে সুমিকে তার স্বামী তালাক দিলে তিনি শিশুকন্যা আঁখিমনিকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন। এক পর্যায়ে সুমিকে তার মা-বাবা অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু তার ছোট মেয়ে থাকায় ছেলে পক্ষ আগ্রহী হয় না। আবার ছোট মেয়ে রেখে সুমিও বিয়ে করতে চাইতেন না। এই নিয়ে সুমির বাবা ও পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া হতো।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুমি তার মেয়ে আঁখিমনিকে ভাত খাওয়াচ্ছিলেন। এ সময় বাবা সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে আবারও বিয়ের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুমি বাড়িতে থাকা ঘাস মারার বিষ ভাতে মিশিয়ে প্রথমে শিশু আঁখি মনিকে খাইয়ে হত্যা করে। পরে নিজেও ওই ভাত খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে পরিবারের লোকজন মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জসিম উদ্দিন তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও ডিবি ওসি রূপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, বাবা ও ভাইয়ের ওপর অভিমান করে সুমি তার মেয়েকে হত্যার পর নিজে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।