রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল লতিফ নিহতের পর তার স্ত্রী শেফালি আক্তার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হচ্ছেন।
আব্দুল লতিফের স্ত্রী শেফালী আক্তার ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে রয়েছেন।
চতুর্থ ধাপে আগামী ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বানিবহ ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দলীয় ঘোষণা অনুযায়ী শেফালিকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়।
শেফালী আক্তার জানান, “তার স্বামী এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। সুখে দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। এলাকার সবাই তাকে ভালোবাসত। ২৩ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। তার অনেক স্বপ্ন ছিল ইউনিয়ন নিয়ে। কিন্তু দুর্বৃত্তরা তাকে রাতের আঁধারে গুলি করে হত্যা করেছে।”
আব্দুল লতিফের স্ত্রী আরও বলেন, “আমি আমার স্বামীর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে স্থানীয় জনগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাব।”
তিনি আশা করেন সকলের সমর্থন পেয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করবেন।
বানিবহ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মোহাম্মদ আলী।
মোহাম্মদ আলী জানান, “নির্মম ও হৃদয় বিদারক ঘটনার পর তারা বিবেকের তাড়নায় দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিহত আব্দুল লতিফের স্ত্রী শেফালী আক্তারকেই সমর্থন দিয়েছেন।”
জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সমন্বয়ে সকলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বানিবহ ইউপি নির্বাচনে শেফালী আক্তার আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী ছিলেন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী খান বলেন, “বানিবহ ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ তার বাড়িতে আসে লতিফ মিয়ার স্ত্রীকে প্রার্থী করার জন্য। এরপর লতিফ মিয়ার স্ত্রীকে প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি রাজী হন। শেফালী আক্তার শিক্ষিত এবং যোগ্য প্রার্থী। তাকে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী ঘোষণা করি।”
গত ১১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে নির্বাচনী সংক্রন্ত কার্যক্রম শেষ করে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে আব্দুল লতিফকে। আগামী ২৩ ডিসেম্বরের ইউপি নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন।