• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মদ নয়, ‘ককটেল’ পানে ৩ বন্ধুর মৃত্যু


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২১, ০২:০২ পিএম
মদ নয়, ‘ককটেল’ পানে ৩ বন্ধুর মৃত্যু

পাবনা শহরের চক ছাতিয়ানী মোল্লাপাড়া মহল্লার তিন বন্ধুর মৃত্যু বিষাক্ত মদপানে নয়, ককটেল (এক ধরনের মিশ্রণকৃত নেশা দ্রব্য) পানে হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা বিভাগের তদন্ত ও হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ দুইজনের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

অতিরিক্ত মদপানে তিন বন্ধুর মৃত্যু ও দুইজন গুরুতর অসুস্থ হওয়ার খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি থাকা শহিদুল ইসলামের জবানবন্দি গ্রহণ করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পাবনা সদর সার্কেলের পরিদর্শক শাহ জালাল খান।

শহিদুলের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পরিদর্শক শাহ জালাল খান বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে এ প্রতিবেদককে বলেন, “তারা মদ পান করেনি। তারা পাঁচ জন ঘুমের বড়ি, কোক ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট পানির সঙ্গে মিশিয়ে ককটেল বানিয়ে পান করেন। পরে বিরিয়ানি ও চিপস খাওয়ায় গ্যাসের কারণে বুক জ্যাম হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

রাজশাহী বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক রওনক আক্তার মিতু বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা সবুজ হোসেনের জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন তিনি।

সবুজের জবানবন্দির বরাত দিয়ে রওনক আক্তার মিতু বলেন, “রুমন পাবনার বড় বাজার থেকে একটি পলিথিনে ৫০০ মিলিগ্রাম সাদা এক ধরনের লিকুইড নিয়ে আসেন, সম্ভবত এটা ‘স্পিরিট’ হবে। এরপরে তারা চক ছাতিয়ানীর মোল্লাপাড়ার জনৈক শিল্পীর নির্মাণাধীন বাড়িতে একসাথে হয়ে ঘুমের বড়ি, কোক ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট অল্প পরিমাণ পানির সঙ্গে মিশিয়ে (ককটেল) বানিয়ে সেবন করেন।” 

২৫ ডিসেম্বর (শনিবার) ভোররাতে পাঁচ বন্ধু মাদক সেবন করেন। তার মধ্যে চকছাতিয়ানি মহল্লার রবিউল ইসলাম রুমন (৩৫), জনি হোসেন (৩০) ও রুবেল হোসেন (৩২) মারা যান। সবুজ হোসেন ও শহিদুল ইসলাম এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Link copied!