সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভিডিও ধারণ করে প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও সেটি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ কথিত প্রেমিক বুলবুল আহমেদ বিপুল (৩০) নামের এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। রোববার বিকেলে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের গজারমারা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত বিপুল ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। মেয়েটির বাড়ি পাশের সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায়।
সোমবার অভিযুক্ত বুলবুল আহমেদ বিপুলকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, চার বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে বিপুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের সম্পর্ক প্রেমে রূপ নেয়। এর কিছুদিন পর বিপুল তাকে দেখা করার জন্য চাপ দিলে সে তার সঙ্গে দেখা করে। পরে বিপুল তাকে তার বোনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং ঘটনাটি কৌশলে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হলে ওষুধের মাধ্যমে বাচ্চা নষ্ট করতে বাধ্য করে বিপুল। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ওই তরুণী বিপুলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেও মুক্তি মেলেনি তার। এরপর সে বিপুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর সকালে ফরিদপুর উপজেলার খলিশাদহ গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ৪ দিন ধরে পর্যায়ক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এরপর বিপুল মেয়েটিকে ওই বাড়িতে রেখে চলে যায়। পরে গত ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের গজারমারা গ্রামে প্রেমিক বিপুলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন শুরু করে মেয়েটি। বিপুলের বাড়িতে অবস্থানরত অবস্থায় গত ১ জানুয়ারি দুপুরে মেয়েটি ৯৯৯-এ কল দিলে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ মেয়েটিকে ফরিদপুর থানায় হস্তান্তর করে। ওই দিন রাতেই মেয়েটি বাদী হয়ে ফরিদপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করে।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ ও থানায় মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আসামি বুলবুল আহমেদ বিপুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
