দুই দেশের বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়ার জটিলতার কারণে ভারতীয় তরুণীকে তিন মাসের সাজা কাটাতে হলো দেড় বছর। পাসপোর্টবিহীন বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে তাকে ওই সাজা দেওয়া হয়।
দেড় বছর কারাভোগ শেষে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর চেকপোস্ট দিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
ওই তরুণীর নাম মনিরা খাতুন (১৮)। তিনি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাট চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নম্বর ব্লকের আইয়ুব বিশ্বাসের মেয়ে।
জানা যায়, মনিরা ২০২১ সালের ১ এপ্রিল বিকেলে অবৈধভাবে ঝিনাইদহের খালিশপুরে মামার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এ সময় মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর বিজিবি থানায় দেয়। পরে আদালতে সোপর্দ করে তাকে। পাসপোর্টবিহীন বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। তারপর থেকে ঝিনাইদহের কারাগারে ঠাঁই হয় মনিরার। দুই দেশের বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়ার জটিলতায় সেখানে কেটে যায় দেড় বছর। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে নিজ দেশ ও পরিবারের কাছে ফিরলেন মনিরা।
দুপুরে দর্শনা বন্দরের জিরো পয়েন্ট অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজিরি দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার জহির উদ্দীন, আইসিপি কমান্ডার আলাউদ্দিন, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আব্দুল আলীম, দর্শনা থানার এসআই নিতীশ বিশ্বাস, ঝিনাইদহ কারাগারের ডেপুটি জেলার সাইফুল ইসলাম। ভারতের পক্ষে ছিলেন বিএসএফের গেদে কোম্পানি কমান্ডার এসি রাবেন্দ্রর, কৃষ্ণগঞ্জ থানার বাবিন মুখার্জি, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ সন্দীপ কুমার তেওয়ারি, কাস্টমস কর্মকর্তা অজয় নারায়ণ, ডিআইবি সাধন কুমার মণ্ডল।