• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভাঙা সেতুতে দুর্ভোগে ৭ গ্রামের মানুষ


জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২২, ০৩:৩৪ পিএম
ভাঙা সেতুতে দুর্ভোগে ৭ গ্রামের মানুষ

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সিরাজাবাদ-গোয়ালেরচর সড়কে গায়েনপাড়া এলাকায় একটি সেতু অকেজো হয়ে পড়েছে। চার বছর আগে ওই সেতুটি দেবে গিয়ে চলাচল অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন আশপাশের অন্তত ৭ গ্রামের মানুষ।

ভাঙা সেতুর কারণে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের। এ ছাড়া পাশের উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাজাবাদ বাজার হতে গোয়ালেরচর ইউনিয়নের গোয়ালেরচর ভায়া মহলগিরী সড়কে গায়েনপাড়া কদমতলী খালের ওপর নির্মিত সেতুটি আজ থেকে চার বছর আগে দেবে ভেঙে যায়। এরপর দীর্ঘ সময়েও সেতুটি সংস্কার কিংবা ওই স্থানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হয়নি। 

ইসলামপুর উপজেলা সদর থেকে পার্শ্ববর্তী বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের যাতায়াতসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে সড়কটি ৩০ হাজার মানুষের অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সেতুটির বেহাল অবস্থায় জীবনযাত্রায় পড়েছে নানা প্রভাব। ঝুঁকি নিয়ে করতে হচ্ছে যাতায়াত।

গায়েনপাড়া গ্রামের গুলু হোসেন বলেন, “চার বছর আগে সেতুটি ভেঙে দেবে গেছে। দীর্ঘদিনেও নতুন করে সেতু নির্মাণ হয়নি। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।”

গোয়ালেরচর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজান, শেফালী বলে, “স্কুল খোলা থাকার সময় প্রতিদিন অনেক ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া-আশা করা হতো এই সেতু দিয়ে।”

গোয়ালেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসাইন বলেন, “সেতুটি দিয়ে ইউনিয়নের মানুষ প্রতিদিন বাজার করতে আসত। সেতুগুলো অকেজো হওয়ার ফলে যাতায়াতে মানুষের দুর্ভোগ আগের মতো আসে না।”

ফকিরপাড়া গ্রামের কৃষক আলমাছ আলী বলেন, “আগে সবজি চাষ করে উপজেলা সদরের বাজারে নিয়ে বিক্রি করতাম। অনেক দাম পাওয়া যেত। দেবে যাওয়ায় সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করা যায় না।”

এ বিষয়ে গোয়ালেরচর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাদশা বলেন, “সেতুটি দেবে যাওয়ায় ইউনিয়নের মানুষ অনেক পিছিয়ে আছে। সেতুটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সেতুটি দেবে ভেঙে যাওয়ায় মানুষ চলাচল করতে পারছে না। দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি।”

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক বলেন, “সেতুটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।”

Link copied!