জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে বিলাস মিয়া (২৮) নামের এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া ধষর্ণের শিকার ওই ছাত্রী বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্বা বলে জানা গেছে।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে তাকে উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের টনকিপাড়া গ্রাম থেকে আটক করা হয়। সে আদ্রা জিনিয়াস স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও টনকিপাড়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী স্কুল ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় আটক বিলাসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন।
ছাত্রীর মা বলেন, “ছোট থেকেই তার বাবা এক ছেলে ও মেয়েকে রেখে চলে যায়। সে জামালপুর শহরের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করে। মেয়েকে নানির কাছে রেখে কষ্ট করে পড়ালেখা করাচ্ছিল। বিলাস নামের শিক্ষক তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এতে তার মেয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছে। তিনি দোষীর দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।”
এদিকে আটক শিক্ষক বিলাসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে জিনিয়াস স্কুলের পরিচালক রকিবুল ইসলামসহ এলাকাবাসী।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম বলেন, “জিনিয়াস স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলের শিক্ষক বিলাস মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সময় বিয়ের প্রলোভনে এক বছর ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দৈহিক সর্ম্পক গড়ে তুলেন শিক্ষক বিলাস। এক পর্যায়ে ছাত্রীটি ৫ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে। পরে ঘটনাটি এলাকাবাসীর কাছে জানাজানি হলে স্কুল শিক্ষক বিলাসকে আটক করে পুলিশ।”
এম এম ময়নুল ইসলাম আরও বলেন, “বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের দায়ে শিক্ষক বিলাসকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়। আজ ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”