আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বরিশালের ঐতিহাসিক চরমোনাই মাদ্রাসা ময়দানে আয়োজিত তিনদিন ব্যাপি ফাল্গুনের বাৎসরিক মাহফিল। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় সমাপনী অধিবেশন ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় লাখ লাখ মুসল্লিদের আধ্যাত্মিক এ মিলনমেলা।
মোনাজাতে দেশ, মানবতা, ইসলাম ও দেশের মানুষের শান্তি ও কল্যাণের জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়াও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামবিরোধী, মানবতাবিরোধী অপশক্তির হেদায়াত কিংবা ধ্বংসের জন্য দোয়া করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা আমিরুল মুজাহিদীন আলহাজ হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই দরবারের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে মাহফিল শুরু হয়।
আখেরি বয়ানে হজরত চরমোনাই পীর বলেন, “মানুষ যখন আল্লাহ বিমুখ হয়ে যায় তখন মানুষের মধ্যে মানবতা থাকে না বিধায় তারা যে কোনো অপরাধে জড়িয়ে পরে। সুতরাং আমাদের সবার মধ্যে আল্লাহ ভীতি এবং আল্লাহ ও রাসুলের পূর্ণ আনুগত্য থাকতে হবে। আল্লাহ ও তার রাসুল (স) মনোনীত দ্বীন ছাড়া অন্য কোনো তন্ত্রমন্ত্র কখনোই গ্রহণ করা যাবে না। যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের আদর্শ ছাড়া অন্য আদর্শ গ্রহণ করে কিংবা সে আদর্শের দিকে লোকদিগকে আহ্বান করে, নিশ্চয়ই তারা পথভ্রষ্ট।”
এছাড়া, পীর সাহেব চরমোনাই বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন।
তবে চরমোনাই মাহফিলের অস্থায়ী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চরমোনাই মাহফিলে আগত মুসল্লিদের মধ্য থেকে ১৪ মুসল্লি মারা গেছেন। এর মধ্যে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে সিরাজগঞ্জ থেকে চরমোনাই মাহফিলে ট্রলারে রওনা দেন ৪২ মুসল্লি। রাত ১টার দিকে বরিশালের আড়িয়াল খাঁ নদে লঞ্চের ধাক্কায় ওই ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। মাহফিলের ময়দানে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মরদেহ জানাজা শেষে নিজ নিজ এলাকায় পাঠানো হয়।