জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জসহ অন্তত ৬ জন পুলিশ আহত হন।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার তারাকান্দি যমুনা সারকারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ধানমন্ডি থানায় জিডি করার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের লোকজন বৃহস্পতিবার রাতভর এলাকায় আতশবাজি করে। শুক্রবার সকালে তারাকান্দি যমুনা সারকারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। পুলিশ এতে বাধা দিলে তারা সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ রফিক গ্রুপে যুক্ত হওয়া বিএনপির ক্যাডার মোর্শেদকে আটক করা হয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালায়। এ সময় তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এতে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফসহ পুলিশের অন্তত ছয় সদস্য আহত হন। আহত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই শফিউল আলম সোহাগ, এসআই সুলতান মাহমুদ, এএসআই মেহেদী হাসান, কনস্টেবল খোকনুজ্জামান ও সোলায়মান।
তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ বলেন, “একাধিক মামলার আসামি মোর্শেদের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন লোক সকাল থেকে কারখানা এলাকায় দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। মোর্শেদকে আটক করা হলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমিসহ কয়েকজন পুলিশ আহত হন।” এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি।