পাবনা প্রেসক্লাবের সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
শনিবার (৭ আগষ্ট) দুপুর সাড়ে ১২ টায় পাবনা প্রেসক্লাবের আব্দুল হামিদ সড়কের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা ৩ দিনের কর্মসূচির ঘোষনা করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা এই হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই আইন বাতিলের দাবিও জানানো হয়।
মানববন্ধনে পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, "মামলা বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র ও তথ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। প্রতিবাদ সভা ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রতিবাদ হিসেবে কালো করে জায়গা খালি রাখা হবে।"
মামলা প্রত্যাহার ও পাবনায় কর্মরত গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে পাবনা- আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি খন্দকার আজিজুল হক আরজুর সব অনিয়ম, অপকর্ম ও দুর্নীতি ধারাবাহিকভাবে গণমাধ্যমে তুলে ধরা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ৮ মার্চ সাংসদের পৈতৃক বাড়ি জেলার বেড়া উপজেলার নাটিয়াবাড়ি গ্রামে আমিনপুর থানা-পুলিশ একটি অস্ত্র তৈরি কারখানার সন্ধান পায়। এ সময় অস্ত্র তৈরির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে সৈকত আফরোজ সম্পাদিত পাবনা মেইল টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘সাবেক এমপির ভাতিজার বাড়িতে কারখানা, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার, আটক ২’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঢাকার বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে গত ৯ জুন সাবেক এই সাংসদ মামলা করেন।
এজাহারে সাংসদের দাবি, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। সাংবাদিক সৈকত আফরোজ তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করতেই সংবাদটি প্রকাশ করেছেন। এ কারণে তিনি মামলাটি করেছেন।