নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জেলায় জেলায় পালিত হয়েছে বিজয়ের ৫০ বছর। বিজয় দিবস উপলক্ষে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর সন্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
রাজশাহী
শ্রদ্ধার সঙ্গে রাজশাহীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। প্রথম প্রহরেই রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনার, রাজশাহী কোর্ট শহীদ মিনার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারসহ অন্যান্য শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর সন্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এর আগে সূর্যর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জেলা পুলিশ লাইন্সে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়।
সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলসহ সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
এছাড়াও সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে পুষ্পস্তবক করেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।
লক্ষ্মীপুর
জেলা প্রশাসন, পরে পুলিশ বিভাগ, রাজনৈতিক সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এ সময় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফফার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কুল প্রদীপ চাকমা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে শহরের বাগবাড়িস্থ শহীদদের গণকবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা স্টেডিয়াম মাঠে কুজকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কুজকাওয়াজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। এছাড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা স্টেডিয়াম মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। পরে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফেনী
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসানের সভাপতিত্বে সভার শুরুতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং বীর শহীদদের স্মরণে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিপি হাফেজ আহম্মদ।
জেলা কালচারাল অফিসার এসএম টি কামরান হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এস শাহুদুল হক বুলবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ বাহার।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিতে হবে। মৃত্যু ঝুঁকি জেনেও মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন আত্মদান করেছেন তাদের ত্যাগ বৃথা যায়নি। আজ বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ ও নির্ভরশীল দেশ। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ও মধ্যাহ্ন ভোজ করা হয়।
সারিয়াকান্দি (বগুড়া)
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুরন্ত ০৭ সংগঠনের উদ্যোগে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্বেচ্ছায় করি রক্ত দান, হাসবে রোগী বাঁচবে প্রাণ এ সময় সংগঠনের আহ্বায়ক মো. নাহিদ হাসান বলেন, রক্ত মানবদেহের একটি অপরিহার্য উপাদান। রক্তের বিকল্প শুধু রক্তই। চিকিৎসা বিজ্ঞানে আজ পর্যন্ত রক্তের কোনো বিকল্প আবিষ্কার হয়নি। রক্তের অভাবে যখন কোনো মানুষ মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ায় তখন অন্য একজন মানুষের দান করা রক্তই তার জীবন বাঁচাতে পারে। কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের এদেশে স্বেচ্ছা রক্তদাতার সংখ্যা খুবই কম। তাই আমাদেরই রক্ত দানে এগিয়ে আসতে হবে। সারভো ০৭ সংগঠন টি একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবা মূলক সংগঠন এটি ২০০৭ সালের সারিয়াকান্দি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচের একটি সংগঠন।
সাতক্ষীরা
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সাতক্ষীরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বৃহস্পতিবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়।
এরপর সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্প মাল্যঅর্পণ করেন জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। পরে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত, পুলিশ ও বিএনসিসিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ ও শরীর প্রর্দশনী, রক্তদান কর্মসূচি, চিত্র অংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে স্টেডিয়ামে সকালে বেলুন, ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিসের উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ নজরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপীসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম ও এতিমখানায় উন্নত মানের খাবার সরবরাহ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক চলচিত্র প্রদর্শনী, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনাসহ নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এছাড়া সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গাজীপুর
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, বিজয় দিবসের আলোচনা, কুচকাওয়াজ ও র্যালিসহ নানান আয়োজনে গাজীপুরের শ্রীপুরে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
পরে সকাল ৯টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শ্রীপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ৫৪৬জন মুক্তিযুদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ১৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে। পরে যথাক্রমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
রাঙামাটি
জেলার ১০টি উপজেলাতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।
ভোর ৬টা ৩৪মিনিটে জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এর পরে পুলিশ, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্তৃপক্ষ, ক্ষমতাসীন দল জেলা আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং আপামর জনসাধারণ শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যে দিয়ে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে রাঙামাটি মারী স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়ানো, আনসার- ভিডিপি, স্কাউট, গার্লস গাইড ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে সমাবেশ ,বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযুদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানান।
কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠান শেষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে বেলা সাড়ে ১১টায় জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সেসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব-মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম হানাদার মুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর দুই লাখ মা-বোনের ত্যাগ আর তিতিক্ষা এবং কোটি বাংলার মানুষ আত্মনিবেদন ও গৌরবগাঁথা গণবীরত্বে পরাধীনতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় বাংলার মানুষকে।
এছাড়াও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নানান কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সরকার ঘোষিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিখায় আলোকিত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় রাঙামাটিবাসীও শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
নীলফামারী
যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫০ তম মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দিবসটি উপলক্ষে ৩১ বার তপোধ্বনির মাধ্যমে দিনের সূচনা করা হয়। শীতের কুয়াশায় সকাল ৬টা ৪২ মিনিটে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়স্থ স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ স্মৃতি অম্লানের পাদদেশে মহান শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম, পিপিএম। এরপর একে একে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পরে সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা সার্কিট হাউজ চত্বরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরাবতা পালন, দোয়া মোনাজাত করা হয়। দোয়া মোনাজাত শেষে আনুষ্ঠানিক জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হকের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ও স্বাধীনতা স্মৃতি অম্লানে পুষ্পমাল্য অর্পন ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অনুরূপভাবে জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলা বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি
স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি ও মহান বিজয় দিবস যথাযথ পালিত হয়েছে। সকালে মাইনী ভেলীস্থ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় পুস্পস্তবক অর্পণ। প্রথমে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
এছাড়া বিকেলে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সারা দেশের সঙ্গে একযোগে শথপ গ্রহণ ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এতিমখানা, জেল খানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা আয়োজন করা হয়েছে।