জামালপুরে মোছা. আনোয়ারা বেগম শিখা নামের এক নারীকে এসিড নিক্ষেপের দায়ে তার দেবর শাকিল আহম্মেদ বাবুকে (২৭) ১০ বছর ও ননদ সাবিনা ইয়াসমিন শিলাকে (৩২) ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৮ নভেম্বর) জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাকিল ও সাবিনা (৩২) জামালপুর সদর উপজেলার বিনন্দেরপাড়া এলাকার মো. সামসুল হকের সন্তান।
শাকিলকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং সাবিনাকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বিনন্দেরপাড়া এলাকার মো. আলাল উদ্দিনের মেয়ে আনোয়ারা বেগম শিখাকে পারিবারিক কলহের জের ধরে তার দেবর শাকিল ও ননদ সাবিনা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর রাতে নিজ ঘরে টিভি দেখার সময় শাকিল ও সাবিনা ভাবি আনোয়ারাকে এসিড নিক্ষেপ করেন। এতে তার শরীরের পেছন ভাগ ও দুই পায়ের হাঁটু পর্যন্ত দগ্ধ হয়। খবর পেয়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘদিন তিনি রাজধানীর এসিড সারভাইবাল ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ বিষয়ে আনোয়ারার বাবা আলাল উদ্দিন জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত শাকিল ও সাবিনাকে সশ্রম কারাদণ্ডদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা দায়রা জজ আদালতের পি.পি. নির্মল কান্তি ভদ্র এবং আসামিপক্ষের ছিলেন মো. ফজলুল হক।