পঞ্চম ধাপে ইউপি নির্বাচনে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা, চর আমখাওয়া, হাতীভাঙ্গা ও চুকাইবাড়ী ইউনিয়নে পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি। নির্বাচনী আলোচনা-সমালোচনা, প্রচার-প্রচারণা ছাপিয়ে উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের দেবর-ভাবির ভোটযুদ্ধের লড়াইয়ের বিষয়টি তুঙ্গে উঠে এসেছে।
এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম দৌলত হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী ও ইউনিয়ন মহিলা লীগের সহসভানেত্রী মাহমুদা চৌধুরী নৌকা প্রতীক এবং ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরীর স্বতন্ত্র ব্যানারে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। তারা সম্পর্কে আপন দেবর ভাবী ।
দেবর-ভাবী হলেও নির্বাচনে তারা ভিন্ন দল ও ভিন্ন প্রতীকে প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনের শেষ সময়ে মাঠ গরম করে তুলছেন। ইউনিয়ন জুড়ে পোস্টার, লিফলেট ভরে তুলেছেন। ভোট চেয়ে দুজনেই পৃথক পৃথক জনসংযোগ, জনসভা ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চেয়ে ঘুরছেন। এ লড়াইয়ে জিততে হবে—এমন প্রতিজ্ঞায় তারা দুজনেই বদ্ধপরিকর। দেবর-ভাবীর এ ভোট যুদ্ধের লড়াইয়ে বিব্রত হয়ে পড়েছেন সাধারণ ভোটাররা।
এ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদা চৌধুরী (নৌকা) ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ (মোটরসাইকেল), মো. জুনায়েত হোসেন (আনারস)। বিএনপির নেতা স্বতন্ত্রের ব্যানারে তাজুল ইসলাম চৌধুরী (ঘোড়া), সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ (চশমা) এবং জাতীয় পার্টির ফজলুল করিম (লাঙ্গল) নির্বাচন করছেন।
দেবর-ভাবীর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ইউনিয়নের ভোটারদের মধ্যে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া। দেবর মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও ভাবী মাহমুদা চৌধুরী ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছড়াচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদা চৌধুরী বলেন, “তাজুল ইসলামকে নির্বাচন না করতে বিভিন্ন ভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু সে কারো কথা রাখেনি। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে, ইউনিয়নবাসীও আমাকে সমর্থন করছেন ও ভোট দিবেন বলে সাধারণ ভোটাররা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এবার নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করব ইনশা-আল্লাহ।”
এদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “ভোটের ক্ষেত্রে দেবর-ভাবী নেই। জনগণ যাকে চাইবে তাকেই ভোট দেবে। যেভাবে নির্বাচন করছি ও ভোটারদের সাড়া পাচ্ছি, তাতে আমিই জয়লাভ করব।”