সেতুটির রেলিং ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুর ওপর দিয়েই ছোট বড় যানবাহনসহ স্থানীয় বাসিন্দারা চলাচল করেন। হাজারো মানুষের চলাচলের জন্য নির্মিত এই সেতুর এমন দশায় নেই কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ। তাই কাছিমারচর-বকশীগঞ্জ সড়কে মহলগিরী খালের ওপর নির্মিত সেতুর ভাঙা অংশে দুর্ঘটনা এড়াতে দেওয়া হয়েছে বাঁশের রেলিং।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জামালপুর জেলার ইসলামপুরের কাছিমারচর ভায়া বকশীগঞ্জ সড়কে উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়নে মহলগিরী বাজারের দক্ষিণ পাশে খালের ওপর নির্মিত সেতুর রেলিং ভেঙে গেছে অনেক দিন আগে।
সেতুটি দিয়ে চলাচল করেন গোয়ালেরচর উচ্চবিদ্যালয়, সভারচর উচ্চবিদ্যালয়, মহলগিরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহলগিরী দারুচ্ছুন্না দাখিল মাদ্রাসা, সভারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সভারচর মহাবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারী।
মহলগিরী বাজারের ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন বলেন, “দীর্ঘদিনেও সেতুটি সংস্কার না করায় আমরা স্থানীয়ভাবে বাঁশের রেলিং বেঁধে দিয়েছি।”
অটোরিকশাচালক বেলাল মিয়া বলেন, “অটো চালিয়ে এই সেতু পার হতে ভয় লাগে। বাঁশের রেলিং থাকায় চলাচলে কিছুটা সাহস পাই।”
ভ্যানচালক সুজন মিয়া বলেন, “অন্তত ১০ বছর আগে সেতুটির রেলিং ভেঙে গেছে। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিনও মেরামত করা হয়নি। দুর্ঘটনা এড়াতে ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব সেতুতে বাঁশের রেলিং বানিয়ে দিয়েছেন।”
গোয়ালেরচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাদশা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজটির রেলিং ভেঙে পড়ে আছে। এ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও ব্রিজটি মেরামত না করা হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ দিয়ে আদৌ ব্রিজটি মেরামত করা সম্ভব নয়। সে কারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই দুর্ঘটনা এড়াতে ব্রিজের ভাঙা অংশে বাঁশের রেলিং পোস্ট নির্মাণ করে দিয়েছি।”
এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক বলেন, “ইতিমধ্যে ব্রিজটি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কাগজপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে প্রেরণ করেছি। অনুমোদন সাপেক্ষে নতুন করে ব্রিজের কাজ শুরু করা হবে।”