লালমনিরহাটে তিনদিন ধরে বইছে শৈত্য প্রবাহ। তার সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশা। তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ জেলার। হাসপাতালে হাঁপানি, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া ও শিশু ডাইরিয়ার, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েছে। প্রচণ্ড শীতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের চলাফেরা কষ্ট হয়ে পড়েছে।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকেই চলে সূর্যের লুকোচুরি খেলা। বিকাল হতেই বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা। আর রাতে শৈত্য প্রবাহের সাথে শুরু হয় ঘন কুয়াশা। সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এদিকে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার তিস্তা, ধরলা তীরবর্তী এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ কয়েক দিন থেকে কাজকর্ম না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিস্তা তীরবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। মহাসড়কগুলোয় দিনের বেলায় বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল হেডলাইড জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
লালমনিরহাটে গত শুক্রবার সকাল ৯টায় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল জানান, তিস্তা নদী বেষ্টিত এই ইউনিয়ন, তাই এই এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশী। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় শীতার্ত মানুষকে কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, হাঁপানি, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া ও শিশু ডাইরিয়ার আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ উপজেলায় ৯০ জন রোগীর ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে ফিলে গেছেন ৩০ জন। তবে শীতের তীব্রতা বাড়ায় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।