কুমিল্লায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মিলিয়ে ৩ মাসে ৩৭টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যে তালিকায় রয়েছে দেশজুড়ে আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর কাউন্সিলর সোহেলসহ দুইজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনাও।
গত ২২ নভেম্বর নিজ কার্যালয়ের পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহকারী হরিপদ সাহা। এ দুইজনসহ নভেম্বর মাসে কুমিল্লা জেলায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মোট ১৩ জন। এছাড়া এই জেলায় গত অক্টোবর মাসে ১৪টি এবং সেপ্টেম্বর মাসে ১০টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা, জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে কুমিল্লা সদর উপজেলায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৪টি। এছাড়া বুড়িচং উপজেলায় ২টি, দাউদকান্দি উপজেলায় ২টি, মেঘনা উপজেলায় ১টি, দেবীদ্বারে ৩টি এবং মুরাদনগর উপজেলাধীন বাঙ্গরা থানায় ১টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
তার আগে অক্টোবরে কুমিল্লা সদর উপজেলায় খুনের ঘটনা ঘটে ৩টি। এছাড়া সদর দক্ষিণ উপজেলায় ১টি, নাঙ্গলকোটে ১টি, চান্দিনায় ২টি, দাউদকান্দি উপজেলায় ৩টি, মেঘনা উপজেলায় ২টি, মুরাদনগরে ১টি, দেবীদ্বার উপজেলায় ১টি হত্যাকাণ্ডের ঘটেছে।
এছাড়া সেপ্টেম্বরে কুমিল্লায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল ১০টি। আর সব মিলিয়ে গত তিন মাসে কুমিল্লায় মোট হত্যকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৩৭টি।
জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা সূত্রে জানা যায়, নভেম্বর মাসে কুমিল্লায় মোট অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ৪২৩টি। এর মধ্যে ১৩টি খুন ছাড়াও ডাকাতি হয়েছে ২টি, দাঙ্গা ৩টি, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১৭টি, ধর্ষণ ৮টি। এছাড়া অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ৩৮০টি।
জেলায় অক্টোবরে মোট অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল ৪১৯টি। এর মধ্যে ১৪টি খুন ছাড়াও ১টি ডাকাতি, একটি অপহরণ, ১৮টি নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ৫টি ধর্ষণের অপরাধ রয়েছে। ওই মাসে অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত হয় ৩৮০টি।