ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দুদিন টানা বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ফরিদপুরবাসী। ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে অঝোর ধারায় ঝরছে বৃষ্টি। রোববার (৫ ডিসেম্বর) সারাদিন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হলেও রাত থেকে শুরু হয় ভারী বৃষ্টি। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে অফিসগামীসহ প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হওয়া মানুষরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকায় অফিসগামী সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা খুবই কম। সিএনজি ও রিকশা ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি।
ফরিদপুর বাস টার্মিনালে কথা হয় রকিবুল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমি ঢাকা যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়েছি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ভোগান্তি পড়তে হচ্ছে।”
ফরিদপুর থেকে মাগুরাগামী লিটন মাতুব্বর নামে এক যাত্রী বলেন, “আমি সকাল ৯টায় বাসে যাওয়ার জন্য এসেছি। টিকিট দিয়েছে ১০টার বাসের। এখন বাজে সাড়ে দশটা মিনিট। তবুও বাস ছাড়ার খবর নেই।”
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে উপকূলে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা কাটেনি। সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে দেশের সব সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে।
ফরিদপুরের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ সুরুজ আলী মিয়া বলেন, “পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব থাকবে আগামীকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত। এই দুই দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।”