• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

৮০ লাখ টাকা নিয়েও আপস না করায় এরশাদুলকে হত্যা


ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২১, ০৩:১৯ পিএম
৮০ লাখ টাকা নিয়েও আপস না করায় এরশাদুলকে হত্যা

৮০ লাখ টাকা নিয়ে নিয়েও একটি হত্যা মামলায় আপস না করায় খুন হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী এরশাদুল হক (৩৫) ও তাঁর সহযোগী বাদল সরকার (২৫)।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান। 

মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, এরশাদুল-বাদল মামলার অন্যতম আসামি আশরাফুল ইসলাম ওরফে রাব্বি (৩৭) পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

১৭ ডিসেম্বর রাতে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামে এরশাদুল ও বাদলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় এরশাদুলের ভাই মো. আক্তারুজ্জামান বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে কসবার বিদ্যানগর এলাকা থেকে আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

২০১৯ সালের ১ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এরশাদুলের চাচাতো ভাই সাইফুল্লাহ মিয়া খুন হন। ঘটনার পরদিন ২ এপ্রিল এরশাদুল বাদী হয়ে নান্দুরা গ্রামের আবদুল মালেক, আবু নাছির, তার ছেলে নজরুল ইসলামসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এই মামলার ১০ নম্বর আসামি আশরাফুল। অন্যদিকে এরশাদুল-বাদল হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি নজরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আশরাফুল। 

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আশরাফুল জানিয়েছেন, সাইফুল্লাহ হত্যা মামলা আপস করার কথা বলে এরশাদুল নজরুলদের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা নেন। কিন্তু টাকা নিয়েও আপস না করে এরশাদুল আদালতে মামলা চালিয়ে যান। সম্প্রতি এ মামলায় নজরুলের বাবা আবু নাছিরকে কারাগারে পাঠানো হলে নজরুলের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এরশাদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন নজরুল।

আশরাফুল আরও জানান, ঘটনার দিন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে পথে এরশাদুলের মোটরসাইকেলের গতি রোধ করেন আশরাফুল। পরে মোটরসাইকেল থেকে নেমে নজরুল তার কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে এরশাদুল ও বাদলকে চারটি গুলি করেন। এরপর দ্রুত তারা সেখান থেকে পালিয়ে যান।
 

Link copied!