হবিগঞ্জের নাট্যদল জীবন সংকেতের প্রযোজনা ‘জ্যোতিসংহিতা’র ৫০তম মঞ্চায়নে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন মৌলভীবাজারের দর্শক।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন আয়োজিত বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিজয় উৎসবে সোমবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটি মঞ্চস্থ হয়।
নাটক শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে জীবন সংকেতকে উৎসব পোস্টার ও স্মারক তুলে দেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিসবাউর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ হাসান।
ভাটি বাংলার দুর্ধর্ষ গেরিলা যোদ্ধা জগৎজ্যোতি দাসের জীবন ও যুদ্ধ গাথার ওপর নির্মিত এ নাটকটি থিয়েটারওয়ালা কর্তৃক স্বাধীনতার ৫০ বছরের নির্বাচিত ৫০ নাটকের একটি।
নাটকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন অনিরুদ্ধ কুমার ধর শান্তনু, সৈয়দ বাকী ইকবাল, রুমা মোদক, সৌরভ বিকাশ দেব, আজহারুল ইসলাম মুরাদ, মাজহারুল ইসলাম পাভেল, জিনাত জাহান নিশা, সনজিত সিনহা, আতিকুর রহমান রনি, মুরাদ রহমান, অরূপ দাস অপু, তন্নী পাল, তন্ময় চক্রবর্তী, অভিজ্ঞান ধর কাব্য, অদ্বিতীয়া ধর পদ্য।
রুমা মোদক রচিত ও সুদীপ চক্রবর্তী নির্দেশিত এ নাটকটিতে বিশাল ভাটি বাংলার বীরযোদ্ধা শহীদ জগৎজ্যোতি দাস ও দাসপার্টির অদম্য যুদ্ধ গাথাই মূল উপজীব্য। তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কথোপকথনে উন্মোচিত হয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে স্বাধীনতার চেতনা অন্বেষণের স্বরূপ। ব্যক্ত হয় তারুণ্যের জয়গাথা।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছে জগৎজ্যোতি দাস ও তার নেতৃত্বাধীন দাসপার্টি ছিল এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। জগৎজ্যোতিকে হত্যার পর তার মৃতদেহ নিয়ে পৈশাচিক উল্লাসে মেতে উঠেছিলো রাজাকার বাহিনী। বাঙালির অকুতোভয় এই তরুণ বীরযোদ্ধাকে নিয়ে কী ভাবছে স্বাধীনতার সুফলভোগী বর্তমান প্রজন্ম? এই প্রশ্নের পথ ধরেই নাটকটি পৌঁছে যায় মহাকাব্যিক অতীতে।