ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও নিরাপদে থাকবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল। বড় ধরনের আঘাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে উপকূলীয় এলাকায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে রোববার (৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী মাঝেমধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামীকাল সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত এভাবে চলতে থাকবে। দুপুরের পর আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জুলফিকার আলী বলেন, জাওয়াদের প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল নিরাপদ থাকবে। তবে উপকূলীয় অঞ্চলে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি রয়েছে। জেলেদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর এলেই সাতক্ষীরার উপকূলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রতিবছরই দুর্যোগের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা।
উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মণ্ডল বলেন, “শনিবার থেকেই উপকূলীয় অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া ঝড়ের আর কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে এলাকার মানুষ অতিবৃষ্টির কারণে ফসল ও মাছের ঘেরের ক্ষয়ক্ষতি হয় কি না, সে বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।”