• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ভূমি কর্মকর্তা অবরুদ্ধ


জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১, ১০:৪৪ এএম
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ভূমি কর্মকর্তা অবরুদ্ধ

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এক ভূমি উপ-সহকারীকে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে ওই ভূমি উপ-সহকারীকে উদ্ধার করেন। অভিযুক্ত ভূমি কর্মকর্তার নাম মো. আলাল উদ্দিন।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে নিজ অফিস কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানান গেছে, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতিভাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী মো. আলাল উদ্দিন ৩ বছর ১ মাস দায়িত্ব পালন করার পর সম্প্রতি তিনি পার্শ্ববর্তী ইসলামপুর উপজেলার এক ইউনিয়নে বদলি হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার বিভিন্ন লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। তাদের দাবি  বিভিন্ন কাজের জন্য ভূমি উপ-সহকারী তাদের থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়েছেন কিন্তু কাজ করে দেননি। তাই তারা সংগঠিত হয়ে ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে সেই ভূমি আলাল উদ্দিনকে তার নিজ অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। সারারাত এবং বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সারাদিন তিনি সেখানেই অবরুদ্ধ থাকেন এবং শত শত পাওনাদার তার অফিসের বাইরে অবস্থান করতে থাকে। 

পূর্ব আমখাওয়ার আজিজুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আমীন বলেন, তিনি ঘরের জন্য এই নায়েবের কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছেন কিন্তু ঘর পাননি। আমখাওয়া গ্রামের মৃত তাজুলের ছেলে মনিরুজ্জামান বলেন যে, তিনি একটি সরকারি ঘরের জন্য গেলে নায়েব তার কাছে ঘুষ দাবি করেন এবং তিনি নিরুপায় হয়ে ২৪ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছেন।

মো. আলাল উদ্দীন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি কোনো টাকা পয়সা কারো কাছ থেকে গ্রহণ করেননি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয়। ঘর দেওয়ার নামে টাকা গ্রহণ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের কোনো ঘর বরাদ্দ আসেনি কাজেই টাকা নেওয়ার প্রশ্ন আসে না। 

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাওনাদারদের সাথে কথা বলেন। তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করেন। তারা যদি সত্যিকার অর্থেই বিভিন্ন কাজের জন্য তাকে টাকা দিয়ে থাকেন তবে সেই পাওনা টাকা ফেরত পাবেন।

অবশেষে ইউএনও’র কথায় আশ্বস্ত হয়ে পাওনাদাররা সেই ভূমি উপ-সহকারীকে তার হাতে তুলে দেন এবং আলোচনার জন্য তাদের প্রতিনিধিরা উপজেলা পরিষদে যান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বেলেন, “আমি নিজে সেখানে গিয়েছি তাদের সাথে কথা বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদি তারা সত্যিকার অর্থে ভূমি উপ-সহকারীকে টাকা দিয়ে থাকেন তাহলে তা ফেরত দেওয়া হবে।”

Link copied!