ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পুত্রবধূকে অচেতনের পরে ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে ধর্ষণ করেন শ্বশুর। জেলার আদিতমারী উপজেলার পলাশি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তদন্তে নামে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে পাশের এলাকা থেকে শ্বশুরসহ দুইজনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন উপজেলার উত্তর তালুকপলাশী গ্রামের ওই শ্বশুর মকছুদার (৪৮) ও তার এক সহযোগী একই গ্রামের বদিয়ার রহমানের ছেলে মুনছুর আলী (৫২)।
দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।
পুলিশ সুপার বলেন, রোববার (৫ ডিসেম্বর) এ ঘটনা নিয়ে বাবা ছেলের মধ্যে বিতর্ক হলে নিজ বাড়িতে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নির্যাতিতার স্বামী অটোচালক হাবিবুর রহমান। এসময় চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে এ ঘটনা ধাপা চাপার দেওয়ার জন্য সহযোগী মুনছুর আলীসহ একই গ্রামের সহযোগী অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম ও আলম মিয়া ভিকটিম ওই নারীকে বাড়িতে ধানের গোলার ভেতর আটকে রাখে ভিকটিমের বাবাকে মামলা না করার জন্য ভয়ভীতি দেখান। এমনকি বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য পুত্রবধূকে বিয়ে করতেও চেয়েছেন ওই শ্বশুর।
পুত্রবধূর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত শ্বশুরকে প্রধান করে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, এজাহারভুক্ত বাকি দুই আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। লম্পট ওই শ্বশুর অনুরূপ একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন।
