গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচনী অফিস করাকে কেন্দ্র করে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার পাশাপাশি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অন্যত্র ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে মহিমাগঞ্জ বন্দরের বটতলা পাছপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নৌকার সমর্থকদের মধ্যে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মৃত নুরুল ইসলাম ফকিরের ছেলে হামিদুল ইসলাম (৪২), শ্রীপতিপুর আকন্দপাড়ার মৃত মুনছুর আলীর ছেলে হেলাল (৩৫), মৃত আব্দুল কাফির ছেলে ফরিদুজ্জামান (৫০), ইমদাদুল হকের ছেলে খোকন বাবু (১৭), বামনহাজরা গ্রামের মামুন মুন্সির ছেলে আবু তাহের (২৫), মৃত দিদার প্রধানের ছেলে মোজাম প্রধান (৬০), সেকেন্দার মুন্সির ছেলে মাজেদ ইসলাম (২২), পান্থামারী গ্রামের শাহজাহানের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২০) আহত হয়ে গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মজিবর রহমান, ইউনুছ আলী, লিটন, এমদাদ, আপেল, ফিদ্দুল, জরিফা আলী, ছহির উদ্দিন ও মাহমুদুলের আহতের খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলের দিকে বটতলা পাছপাড়ায় বিদ্রোহী ও নৌকার প্রার্থীর অফিস করাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মহিমাগঞ্জের উঁচু ও নিচু এলাকা নিয়ে চিরদিনের দ্বন্দ্বে অবশেষে দুই এলাকার মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি-দোকানঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে রাত ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলতে থাকে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার টিউটি অফিসার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সামাদ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিকেল থেকেই ঘটনাস্থলে গোবিন্দগঞ্জ থানা-পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত রাত ৯টার দিকে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। উভয় পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।