• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

গোটা বাংলাদেশ তোমার সঙ্গে আছে, তামান্নাকে শিক্ষামন্ত্রী


যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২, ১০:৫৬ এএম
গোটা বাংলাদেশ তোমার সঙ্গে আছে, তামান্নাকে শিক্ষামন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর পর এবার সেই অদম্য মেধাবী তামান্নার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফোনালাপে পড়াশোনার বিষয়ে তামান্নাকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন মন্ত্রী। একই সঙ্গে যশোর গিয়ে অদম্য এই শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা করার কথাও জানায় তাকে। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী তামান্নার বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তামান্নার বাবা রওশন আলী গণমাধ্যমকে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পৃথক দুটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে তামান্নার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা। ফোন দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তামান্নার স্বপ্ন পূরণে যেকোনো সহযোগিতার আশ্বাস দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দুই কন্যা।

তামান্নার বাবা রওশন আলী বলেন, “মঙ্গলবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আমার ফোনে কল দিয়ে তামান্নার খোঁজখবর নেন। একপর্যায়ে তামান্নার সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তামান্নার সঙ্গে দীর্ঘ ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।”

শিক্ষামন্ত্রী তামান্নাকে বলেন, “মনোবল হারানো যাবে না। গোটা বাংলাদেশ তোমার সঙ্গে আছে। তুমি এগিয়ে যাও। তোমার সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আছেন। তুমি নুরের নুর। আল্লাহ তায়ালা তোমাকে নুরের আলোয় আলোকিত করেছেন। এক পা দিয়ে তুমি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছো, তুমি পারো এবং পারবে।”

রওশন আলী বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী তামান্নাকে ভার্সিটিতে মাইক্রোবায়োলজি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার পরামর্শ দিয়েছেন এবং বলেছেন- খুব তাড়াতাড়ি আমি তোমার সঙ্গে দেখা করতে যশোরে আসব।”

মঙ্গলবার ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. কাজী নাজিব হাসান তামান্নাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান এবং মিষ্টি নিয়ে তার বাসায় যান। 

এর আগে তামান্না ২০১৯ সালে উপজেলার বাঁকড়া জনাব আলী খান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। একই ফল করেছিলেন পিইসি ও জেএসসিতেও। তার বাবা রওশন আলী ঝিকরগাছা উপজেলার ছোট পৌদাউলিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার (নন-এমপিও) শিক্ষক। মা খাদিজা পারভীন গৃহিণী।

Link copied!