বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকার গাছে এবার আগাম আমের মুকুল এসেছে। কুয়াশা কম থাকায় মুকুল রয়েছে হৃষ্টপুষ্ট। মুকুলের ম ম সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণত মাঘের শীতের শেষে বরিশাল অঞ্চলের গাছে গাছে দেখা মেলে আমের মুকুলের। এবার মাঘের মাঝামাঝি সময় বরিশালের গাছে গাছে উঁকি দেয় আগাম আমের মুকুল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশাল নগরীর সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের একটি আমগাছে মুকুলের সমারোহ। এছাড়া নগরীসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আমগাছে মুকুল আসতে শুরু হয়েছে।
সোনারাঙা সেই মুকুলের পরিমাণ কম হলেও তা সৌরভ ছড়াচ্ছে বাতাসে। মাঘের তৃতীয় সপ্তাহ এখন। চলছে শীতের ভরা মৌসুম। অথচ এরই মধ্যে বরিশাল নগরীর অনেক আমগাছে মুকুলের দেখা মিলছে। দেশি জাতের আমগাছে মুকুল দেখা গেছে।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ভরা শীতে গাছে মুকুল আসা বিষয়টি ভালো নয়। কারণ, আগে ভাগে আসা মুকুল ঘন কুয়াশা ও অনাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে আমের ফলন কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
অবশ্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে। স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন এলাকায় শীতের তীব্রতা বিরাজ করলেও আগাম জাতের সব আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে।
পৌষের শেষের দিকে গাছে মুকুল আসার লক্ষণ দেখা যায়। তাই মাঘের শুরুতে মুকুল ধরেছে। এ কারণে বাগানে পরিচর্যা বাড়িয়েছেন তারা। বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় অবধি বারোমাসি বা লোকাল জাতের আমগাছে মুকুল আসা শুরু হয়। তবে এবার জানুয়ারির শুরুতেই মুকুল আসা শুরু হয়েছে। শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা ও ঘন কুয়াশার এবং অনাবৃষ্টির কারণে গাছের মুকুল নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যান তত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন, ঘন কুয়াশা এবং অনাবৃষ্টির কারণে দেশি জাতের বিশেষ করে আঁটি ও ফজলি আমগাছের মুকুল ছত্রাকে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘন কুয়াশা আর অনাবৃষ্টির কবলে না পড়লে এসব মুকুলে ভালো আম হবে।