কুমিল্লায় কাশ্মীরি আপেল কুল চাষে সফল হয়েছেন শাহজাহান (২৩) নামের এক যুবক। তিনি জেলার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের গোমতী নদীর তীরবর্তী ঝাকুনিপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
ছোটবেলা থেকেই শাহজাহানের স্বপ্ন ছিল বিদেশে গিয়ে মায়ের স্বপ্নগুলো পূরণ করবে। তাই স্কুলজীবন শেষ করে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে তিনি ব্যর্থ হন। তাই বাবার গড়ে তোলা নার্সারির পাশেই গড়ে তোলেন কাশ্মীরি আপেল কুলের বাগান। বিদেশ যাত্রায় ব্যর্থ হলেও কুল চাষে সফল হয়েছেন তিনি। তার বাগানজুড়ে এখন কাশ্মীরি আপেল কুলের সমাহার।
জানা যায়, মায়ের কাছ থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ২০১৯ সালে শখের বশে কাশ্মীরি কুল চাষ শুরু করে শাহজাহান। গোমতীর চরে ৮০ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছিলেন কাশ্মীরি কুলের ৩৫০টি চারা। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৬০০টিতে। সাফল্য পেয়ে চলতি বছর কাশ্মীরি কুলের পাশাপাশি করেছেন বলসুন্দরী কুলের চাষ।
কাশ্মীরি আপেল কুল দেখতে আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর হালকা লাল। স্বাদ হালকা মিষ্টি, অনেকটা বাউকুলের মতো। প্রচলিত আপেল কুল ও বাউকুলের থেকে আকারে বেশ বড় এই কাশ্মীরি আপেল কুল।
মো. শাহজাহান জানান, তিন বছর আগে ভারত থেকে চারা আনেন তিনি। আনা-নেওয়াসহ প্রতিটি চারায় খরচ পড়ে ১৫০-১৮০ টাকা। এখন পর্যন্ত তিন বছরে তার ব্যয় হয়েছে ১ লাখ টাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় বছর মিলে তিনি লাভ করেন ৩ লাখ টাকা। এ বছর প্রতিটি গাছ ৩০-৪০ কেজি করে কুল ধরেছে। এভাবে টানা ৫-৭ বছর পর্যন্ত তিনি কুল বিক্রি করতে পারবেন। প্রতি কেজি কুল ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি বছর তিনি এখনো কুল বিক্রি শুরু করেননি। তবে দু-এক দিনের মধ্যেই বিক্রি শুরু করবেন। সব মিলিয়ে এ বছর তিনি ১০ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।