কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৫৫) এলোপাতাড়ি গুলি করে খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম (২৮) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার চাঁনপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা-পুলিশের সঙ্গে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
শাহ আলম নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত জানু মিয়া ছেলে। এ সময় পুলিশ তার হাতে থাকা ৭.৬৫ মডেলের একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে।
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস বলেন, “বুধবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁনপুরের গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ধরতে জেলা ডিবি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের একাধিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি বর্ষণ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পালিয়ে যায়।”
পরিমল দাস আরও বলেন, “গুলিবর্ষণ শেষে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই পিস্তল হাতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে শাহ আলম বলে শনাক্ত করে। এ সময় আহত শাহ আলমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গোলাগুলিতে পুলিশের দুইজন সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শাহ আলমের মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।”
এর আগে গত সোমবার দিবাগত গভীর রাতে মামলার ৩ নম্বর আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে মো. সাব্বির রহমান (২৮) ও মামলার ৫ নম্বর আসামি নগরীর সংরাইশ এলাকার কাঁকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন।