• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কক্সবাজারে নারী ধর্ষণ: রিমান্ড শেষে ২ আসামি কারাগারে


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২২, ০৫:৩২ পিএম
কক্সবাজারে নারী ধর্ষণ: রিমান্ড শেষে ২ আসামি কারাগারে

কক্সবাজারে এক নারীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান বাবুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

তিন দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি)  দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান  ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ। 

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ৪ জানুয়ারি আশিক ও বাবুকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেয় কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবুল মনসুর সিদ্দীকির আদালত। রিমান্ড শেষে আজ যথানিয়মে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ২ জানুয়ারি ঢাকা থেকে কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয় আশিককে।

গত ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজারে স্বামী ও সন্তানকে জিম্মি করে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এরপর এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ ও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। এ মামলায় সব আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মামলায় নাম উল্লেখ করা চার আসামি হলেন কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

ওই নারীর ভাষ্য অনুযায়ী স্বামী-সন্তান নিয়ে ২২ ডিসেম্বর সকালে তারা কক্সবাজার পৌঁছান। এরপর শহরের হলিডে মোড়ের সি ল্যান্ড হোটেলের ২০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। বিকেলে সৈকতে গেলে সাড়ে ৫টার দিকে তার স্বামীর সঙ্গে এক যুবকের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

এর জের ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার কিছু পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। আর তাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় জোর করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

ওই নারীর অভিযোগ, তাকে শহরের একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে প্রথমে তিনজন ধর্ষণ করেন। তারপর নেওয়া হয় হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে। সেখানে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন একজন।

অবশ্য ওই নারীর অভিযোগের সঙ্গে দেওয়া তার স্বামীর বক্তব্যে অনেকাংশে অমিল পাওয়া গেছে। স্বামী বলেছেন, জীবিকার তাগিদে ঘটনার অনেক আগে থেকেই কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন তারা।

Link copied!